সপ্নবিলাস
(মানবজমিন থেকে)
!
!
!!
!
মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে ছাত্রলীগ কর্মীদের গণধর্ষণ
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন পদত্যাগ করেছেন। সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ফেনী থেকে করেরহাট রামগড় সড়ক সংলগ্ন নয়টিলা মাজার জিয়ারত করতে আসেন ফেনীর মহিপাল হাজারী রোড এলাকার ওই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই।
তার হাতের জটিল অসুস্থতার জন্য বিয়ের পর স্বামী তাকে নিয়ে যাচ্ছে না বলে নিয়ত করে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসেন তিনি। সন্ধ্যার পর ফেরার পথে করেরহাট বাজার পার হয়ে লক্ষ্মীছড়ার পাশে স্থানীয় ছাত্রলীগের যুবক দিদারুল আলম (২৩), মোশাররফ (২৪), সুজা (২৩) ও করিম (২৪) তাদের সিএনজি আটক করে চাচাতো ভাইয়ের ২টি মোবাইল ও পকেটে থাকা ৪০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভাইকে সেখানে আটকে রেখে বোনকে লিটন (২৫), জিয়া (২৪) ও সবুজ (২৩) আরেকটি সিএনজিতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সব রেখে দিয়ে ভাইকে ছেড়ে দেয়। এরপর ভাই ঘটনাটি স্থানীয় লোকজনদের জানালে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সেক্রেটারিকে জানাতে পরামর্শ দেন।
অবশেষে রাত ১০টার পর ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ অবহিত হয়।
রাত ১২টার পর অপহরক দলের সদস্য দিদারুল আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ২টায় গৃহবধূকে দক্ষিণ অলীনগর এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেন জোরারগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন। এ সময় ধর্ষকেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। গৃহবধূ জানান, ৩ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। দিদারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ধর্ষক তিনজন হলো লিটন, জিয়া ও সবুজ।
লিটন করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দিদার প্রচার সম্পাদক ও সবুজ সক্রিয় কর্মী। এছাড়া অন্য সকলে ছাত্রলীগ কর্মী। এ বিষয়ে করেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান এমন অপরাধী ছাত্রলীগ নয় এরা ছাত্রলীগ নামধারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।