আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে
সময় আর আর সবকিছুর মতন মানুষকেও বদলে দেয়,জাগরণ বদলে দেয় মানুষের চেতন। এরকম দেখতে এইবয়েসের আরো অনেক ছেলে মেয়ে দেখেছি, কিন্তু ওদের মতন তাকাতে কাউকে দেখিনি। হাসিটাও কেমন আলাদা মনে হয়।
ফেব্রুয়ারীতে সংগঠিত গণজাগরণ আর যাই হোক, "স্বদেশ" বলতে যে একটা বিষয় আছে সেটাকে আমাদের দেশের তরুনদের আবারো মনে করিয়ে দিয়েছে।
সুন্দরবনসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাচানোর জন্য,রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবিতে লংমার্চে ওদের সাথে পরিচয়।
যশোর, ঝিনাইদহ অঞ্চলে ওদের বেড়ে ওঠা। ছাত্র ফেডারেশনের নতুন শাখার নবীন সংগঠক ওরা। যশোর মেডিকেলের সৌরভ, শাওনদের কথা বলতেই হবে ঝিনাইদহের সাগর, মাহফুজ,শুভ,রাতুল,রুদ্র। ওদের সংস্পর্শ উপভোগ করেছি, ওরা এই জলোচ্ছাসে আকীর্ন ঝড়ে বিদীর্ন দুর্ণীতি আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডুবে থাকা দেশটাকে ভালবাসতে পেরেছে। রাতে শহরের দেয়ালে পোস্টার মেরে, চিকা মেরে সকালে নানা বয়সের লোকের সাথে কথা বলে সুন্দরবন বাচানের জন্য চেচাচ্ছে।
ক্যাম্পাসে শহরে মিছিল আয়োজন করছে দিন শেষে বেশীর ভাগ মানুষই বলছে তোমাদের উদ্দেশ্য ভাল কিন্তু তোমরা পারবা না। এত বিরোধিতা - সরকারের প্রেস নোট, পাল্টা সমাবেশের হুমকি, পরিবারের বিরোধাত্মক অবস্থান, বন্ধুদের "দেশ উদ্ধার কর" জাতীয় টিটকারী তদুপরি কাচা বয়স। তবুও ওরা মিছিল করছে" সুন্দরবন আমার মা, ধ্বংস হতে দেবনা । ওদের কথা বলাও যেন কেমন,দৃঢ় মনে হয়। এদেশের নেতৃত্ব এদেরই দিতে হবে, রাজনৈতিক সংগ্রামই পথ বাতলে দেবে সবকিছুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।