শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলেন বলে একটা ম্যাচ খেলতে পারেননি। দেশ থেকে ফিরেই কাল আবার মাঠে তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু ফেরাতে পারলেন না মোহামেডানের জয়ভাগ্য। প্রথম তিন ম্যাচ জয়ী মোহামেডান পেল টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ। বিকেএসপিতে কাল প্রাইম ব্যাংকের কাছে হেরেছে তারা ২ উইকেটে।
একসময় শীর্ষে থাকা দলটি এখন পয়েন্ট টেবিলের সাতে। দিনের আরেক ম্যাচে সিসিএসকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়া। সাত পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এখন পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
আগের ম্যাচের ৬৭-লজ্জার পর কালও ব্যর্থ মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ৩০ ছুঁতে পারেননি কেউ! জিয়াউর-এনামুল জুনিয়রদের বোলিংয়ে ১২৮ রানেই নেই ৮ উইকেট।
নয়ে নামা মুক্তারের ৩০ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৭৩ রানের পুঁজি পায় মাশরাফির দল। এই মুক্তার পরে বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। নতুন বল হাতে নিয়ে সাকলাইন সজীব নিয়েছেন ৩ উইকেট, অজন্তা মেন্ডিস দুটি। কিন্তু মোহামেডানের জয়ের জন্য এসব যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক, এর মধ্যে ছিল তিন বিদেশির উইকেটও।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে দুই তরুণ তাইবুর রহমান ও রেজাউল করিমের ৭১ রানের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় প্রাইম ব্যাংক। বাকি পথটুকু পাড়ি দেন লোয়ার অর্ডাররা। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে প্রাইম ব্যাংক এখন পাঁচে।
ফতুল্লায় সিসিএস ৬ রানে হারায় দুই ওপেনারকে। তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে পঞ্চাশের জুটি হলেও কোনোটিই গড়ায়নি শতরান পর্যন্ত (৬৫ ও ৫৩)।
বড় জুটি হয়নি এর পরও, ইনিংসের একমাত্র ফিফটি সালমানের ৫২। সিসিএস তাই আটকে যায় ২১৭ রানে। নতুন বল হাতে আসিফ আহমেদের অফস্পিন আর কামরুল ইসলামের পেস বোলিংয়ে লড়াইটা খারাপ করেননি সিসিএসের বোলাররা। কিন্তু নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কোনো জবাব ছিল না সিসিএসের। মাঝারি রান তাড়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে ভিক্টোরিয়া অধিনায়কের ৭৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংসটাই।
ষষ্ঠ উইকেটে জুবায়ের আহমেদের সঙ্গে গড়েছেন ৭৫ রানের ম্যাচজয়ী জুটি। ৪০ রানে অপরাজিত জুবায়ের ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।