সোমবার সিবিআই এর একটি বিশেষ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। ৩ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি লালুকে বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লোকসভায় লালুর সদস্যপদও দ্রুত বাতিল করা হবে।
সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আদেশ জারি করেছে, কোনো এমপি বা এমএলএ যদি কোনো আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাকে দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় তবে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে তার সদস্য পদ হারাবেন।
১৯৯০ সালে চাইবাসা কোষাগার থেকে প্রতারণা করে ৩৭.৭ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলার ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। ১৯৯৭ সালে সিবিআই তদন্তে লালু প্রসাদের নাম আসলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
এই মামলায় লালু প্রসাদ ছাড়াও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র, এমপি জগদীশ শর্মা, চার জন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা, একজন সাবেক আয়কর কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতারা জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এই রায় দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানান জ্যেষ্ঠ নেতা রঘুবংশ প্রসাদ।
এই মামলায় মোট ৫৬ জনের নাম ছিল। শুনানি চলাকালে সাতজন অভিযুক্ত মারা যান, দুজন রাজসাক্ষী হন, একজন অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
বিচারপতি পিকে সিং ১৫ জুলাই মামলার রায়ের দিন ঠিক করেন এবং অভিযুক্ত ৪৫ জনকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন।
মামলার বিচারপতি পরিবর্তনের জন্য লালু প্রসাদ প্রথমে ঝাড়খন্ডের উচ্চ আদালতে এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
উভয় আদালতই তার আবেদন খারিজ করে দেয় এবং তাকে সিবিআই এর বিশেষ আদালতে লড়াই করার নির্দেশ দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।