আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, এই রায়ে জাতির ‘প্রত্যাশা পূরণ’ হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে জনগণ এই রায় প্রত্যাশা করছিল বলে মন্তব্য করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক নিধনে অংশ নেয়া এবং নির্যাতন কেন্দ্র চালানোর অপরাধে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী সংক্ষেপে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
গণহত্যায় অংশ নেয়া ছাড়াও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, হিন্দু বাড়ি দখল, হিন্দুদের দেশান্তরে বাধ্য করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীই হলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাংসদ থাকা অবস্থায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডাদেশ পেলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি ঘটনায় সাকা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই রায়ে জাতির প্রত্যাশা পুরণ হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হবে বলে আশা করছি। ”
মহাজোটের শরিক অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জনগণ এই রায় প্রত্যাশা করেছিল।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ৭১ বিরোধী ভূমিকা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হযেছে। ”
অন্যদিকে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “এই রায় ন্যায় বিচার দাবি করে। জাতি এই রায়ের জন্য বহুদিন অপেক্ষা করেছে। ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।