আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা ও চট্টগ্রামে চার গাড়িতে আগুন, চালক দগ্ধ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশের পর রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে একটি কাভার্ড ভ্যানের চালক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
এ ছাড়া ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ, সড়ক অবরোধের চেষ্টা ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা: বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনে একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে সাকার সমর্থকেরা। এ ঘটনায় ওই ভ্যানের চালক নুরুল ইসলাম (২৬) অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

পরে রানা নামের একজন পথচারী তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান।
বার্ন ইউনিটের চিকিত্সক নাসিমা-ই-তাসলিম বলেন, নুরুল ইসলামের শরীরের প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হবে।
চালক নুরুল ইসলাম তেজগাঁও বাবলি মসজিদসংলগ্ন এলাকায় থাকেন।

তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে।
পথচারী রানা বলেন, ইস্টার্ন ফিনিশিং অয়েল কোম্পানির ওই কাভার্ড ভ্যানে মশার কয়েল নিয়ে নুরুল ইসলাম তেজগাঁও থেকে আরমানিটোলার দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি যানজটে আটকে গেলে ৪০-৫০ জনের একটি দল এসে এতে সাদা তরল পদার্থ ছুড়ে মারে। এতে গাড়িতে আগুন ধরে গেলে নুরুল ইসলাম অগ্নিদগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, বেলা দুইটা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বংশালে কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সামনে একটি পিকআপের ওপর কে বা কারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই পিকআপে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান। ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম: সাকার রায়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে সকাল থেকেই গাড়ি চলাচল ছিল কম।

রায়ের পর রাস্তাঘাট হয়ে যায় নির্জন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যাচ্ছেন না। রায়ের কিছুক্ষণ পর চট্টগ্রামের রেলস্টেশন এলাকায় ছোট একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় সাকার সমর্থকেরা। আজ ভোরে চন্দ্রঘোনার আদুরপাড়া এলাকায় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় সাকার অনুসারীরা। এরপর ইছাখালী এলাকায় একটি নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

রায়ের পর পারুয়া ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সমর্থকদের কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে তারা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের নানা স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের চেষ্টা চালানো হয়। তবে পুলিশ অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, নাশকতার অভিযোগে উপজেলার গোডাউন এলাকা থেকে শাহাদাত নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি করাত উদ্ধার করা হয়েছে।

নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
রায়ের পর হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাকার সমর্থকেরা রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ তা তুলে দেয়। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম লিয়াকত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাব, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.