মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রকল্পসহ ১১ হাজার কোটি টাকার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কনস্ট্রাকশন অব ক্লিনারস কলোনি অব ঢাকা সিটি কর্পোরেশন’ প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ১৩টি দশ তলা ভবনে প্রতিটি ৪৭২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
১৩টি ভবনের ৫টি ধলপুরে, ৫টি দয়াগঞ্জে এবং ৩টি সূত্রাপুরে নির্মাণ করা হবে।
এর আগে ২০০৫ সালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ভবন নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হলেও ২০০৭ সালের মে মাসে প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। ফলে সব নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বুয়েটের একটি কমিটি ভবন নির্মাণে ত্রুটি ছিল বলে মতামত দেয়। একই সাথে আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ) সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রকল্পটি বন্ধ রাখার সুপারিশ করে।
ওই প্রকল্পে সরকারের সাড়ে ১২ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলেও আইএমইডি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় ৩টি কলোনির পূর্বের স্থানেই ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। এতে পূর্বে স্থাপিত বাইশ হাজার ৪৭৫ ফুট পাইল অপসারণ করতে হবে।
এছাড়া প্রায় দেড় লাখ বর্গফুট ভবন ভাঙা ও অপসারণ করতে হবে।
২০১৭ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া সভায় উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধ পুনর্বাসন ও উন্নয়ন এবং পোল্ডারসমূহের অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইম্প্রুভমেন্ট (ফেইজ-১)’ নামে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার ১৬টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রকল্পের পুরো অর্থ বিশ্ব ব্যাংক দেবে।
সভা শেষে পরিকল্পনা সচিব ভূইয়া শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ১২ প্রকল্পের ১০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা সরকার দেবে। বাকি অর্থ প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ অন্যান্য মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি হয়।
সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হল- সেকেন্ডারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড” প্রকল্প (১৭১ কোটি টাকা), নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২২৫৩ কোটি টাকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এবং মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় দুটি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (৪৯ কোটি টাকা)।
এছাড়া সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ আধুনিককরণ প্রকল্প (১৫৭ কোটি টাকা), নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, (১৮২ কোটি টাক), ইটনা-বড়ইবাড়ী-চামড়াঘাট সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (১০৯ কোটি টাকা), উজানচর-বাজিতপুর-অষ্টগ্রাম সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (১৩৪ কোটি টাকা), ডেসকোর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন (১৯৮৯ কোটি), এবং মুরাদপুর ২ নং গেইট ও জিইসি জংশনে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প (৪৬২ কোটি টাকা) অনুমোদন পেয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।