আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবের

বেশ অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল ক্রিকেটপাড়ায়।

নির্বাচন করবেন না বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। তবে নির্বাচন করা না করার বিষয়ে কখনোই সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবির সাবেক সভাপতি। বরং সবসময় প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন স্বচ্ছতা নিয়ে।

তফসিল বাতিল করার এবং নতুন তফসিল ঘোষণা করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া যে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেটার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এতদিন। গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন সাবের। তবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে বিসিবির সাবেক সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি ও তার সমর্থকেরা আদালত অবমাননা করতে পারবেন না বলেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

বিসিবির নির্বাচন ১০ অক্টোবর।

এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। কিন্তু গতকাল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে আদালত অবমাননাকে সামনে টেনে এনেছেন, 'জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবি নির্বাচন আয়োজন করছে ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে। অথচ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাপিলেড ডিভিশনের সার্টিফায়েড কপিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে, নির্বাচন করতে হবে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৯ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। যদি ২৯ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তা হবে অবৈধ।

আমরা যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আদালতকে অবমাননা করতে পারি না। আদালতকে অবমাননা করতে পারব না বিধায়ই আমরা নির্বাচনে যাব না। ' ২০১২-এর ২১ নভেম্বর গঠনতন্ত্র সম্পর্কে বিসিবির সাবেক সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এ ছাড়া এটা একমাত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবি বলতে পারবে। ' একই কথা বলে বিসিবির সাবেক পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলও, '২১ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।

আমি কিছুই জানি না এ সম্পর্কে। ' গতকালের সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও বিভাগের সংগঠন ফোরামের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু, মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকুসহ ফোরামের নেতারা ও বেশ কয়েকটি ক্লাবের কাউন্সিলর।

বিসিবির সাবেক সভাপতি এতদিন লড়াই করেছেন ২০১২ সালের ১ মার্চের সংশোধিত গঠনতন্ত্রকে সামনে রেখে। সেই গঠনতন্ত্রের আলোকে নির্বাচন করার জন্য বারবার তাগাদা দিয়েছেন এনএসসিকে। তবে ২৯ নভেম্বরের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই কাউন্সিলর হয়েছিলেন বারিধারা ড্যাজলার্স ক্লাব থেকে।

ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি ও নিষ্পত্তির দিন ৫ পাতার আপত্তিও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার এবং সমর্থকদের আপত্তি ধোপে টেকেনি। যখন আপত্তিগুলো খারিজ হয়ে যায়, তখনই পরিষ্কার হয়ে পড়েছিল, তার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি। এ ছাড়া পরশু অ্যাপিলেড ডিভিশনের সার্টিফায়েড কপি জোগাড় করেন তিনি। তার ওপর পরশু রাত ৩টা পর্যন্ত মিটিং করেন সমর্থকদের নিয়ে।

মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার। অবশ্য নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে যৌক্তিক কারণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন অ্যাপিলেড ডিভিশনের সার্টিফায়েড কপিকে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.