সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী উইনস্টন চার্চিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা ভেবেছিলেন বলে তথ্য উপস্থাপন করেছেন এক ইতিহাসবিদ। ইতিহাসবিদ গিলস মিলটন এমন তথ্য পাওয়ার পর জানান, অন্য দেশে বিষগ্যাসের হানা নিয়ে যাদের এত মাথাব্যথা, এক কালে তারাই ছিল এই বিপজ্জনক অস্ত্র তৈরির আঁতুড়ঘর। তার নতুন বই ‘রাশিয়ান রুলে’ লিখতে গিয়ে এই তথ্যের উপস্থাপন নতুন করে বিশ্ববাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
মিলটনের দাবি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ লগ্নে উইল্টশায়ারের পোর্টন ল্যাবরেটরিতে এক মারাত্মক রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এই অস্ত্রের ভেতরে কৌটোর মধ্যে পুরে রাখা তীব্র বিষগ্যাস।
এই অস্ত্রের ভয়াবহতা বর্ণনায় এসেছে, এক বার এই গ্যাস নাকে ঢুকলেই শুরু হবে বমি। কাশতে কাশতে রক্ত উঠে আসবে মুখ দিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নেতিয়ে পড়বে অবসন্ন শরীর।
প্রশ্ন ওঠে, কাদের জন্য এই বিষগ্যাসের কথা ভেবেছিলেন চার্চিল? চার্চিলের লক্ষ্য ছিল ভারত ও রাশিয়ার বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী লাল সেনাদের গ্যাস দিয়ে মারতেই তিনি এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার চেয়েছিলেন।
ইন্ডিয়া অফিসের এক গোপন নথিতে তাই কলমের এক আঁচড়ে লিখেছিলেন, ‘লেটস গ্যাস দেম। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।