শরীরে নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা দেখে কোনো ব্যক্তির বিষয়-সম্পত্তির ব্যাপারে চিকিৎসকেরা হয়তো শিগগিরই বলে দিতে পারবেন। যুক্তরাজ্যের একদল গবেষকের দাবি, আর্থসামাজিক মর্যাদার ওপর ভিত্তি করেই মানুষের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়।
এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ধূমপানের অভ্যাস বা দারিদ্র্যের মতো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে ব্যক্তির শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন উপাদানে প্রভাব ফেলে। যেমন: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিরোধক প্রসাধনীতে (সানস্ক্রিন) উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা সাধারণত বিত্তশালী পরিবারের সদস্যদের শরীরে বেশি হয়ে থাকে।
এ ছাড়া তাঁদের রক্তে পারদ ও আর্সেনিকের উপস্থিতিও বেশি হয়ে থাকে। কারণ, ধনী পরিবারে মাছ খাওয়া হয় তুলনামূলক বেশি।
যুক্তরাজ্যের এক্সেটার ইউনিভার্সিটির অধিভুক্ত ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড হিউম্যান হেলথের গবেষক জেসিকা টাইরেল বলেন, সম্পদের ওপর ভিত্তি করে মানবদেহের ব্যক্তিভেদে রাসায়নিক উপাদানের মাত্রার তারতম্য হয়। ১৮টি রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা মানুষের খাদ্যাভ্যাসসহ সার্বিক জীবনযাত্রার ধরনের ওপর নির্ভর করে। নিম্নতর আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপারটি রক্তে সিসা ও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা দেখে নির্ণয় করা যায়।
টেলিগ্রাফ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।