আমি একা তুমি একা অথচ দুজন পাশাপাশি মাঝখানে যা তা হলো দাবার দান...... চেক দিও না মন্ত্রি যাবে ভালোবেসো না খেলায় হারবে......
আমাদের দেশে সচরাচর অতি সুন্দরীদের জন্ম হয় না। অতি সুন্দরীদের জন্ম না হবার কারন খুজতে গিয়ে মনে হলো, আসলে আমাদের সাব কন্টিনেন্টাল দেশ গুলোতে, সুন্দরীরা সৌন্দর্যের দায় মিটিয়ে উঠতে পারেন না! দায় কথাটা লিখতে গিয়েই মনে হলো, আমারও দায় থাকে, এই দায় কথাটা ব্যাখ্যা করার। আমাদের দেশের চামড়া সুন্দরী দের দায় থাকে, লাল লিপস্টিক অয়ালা ঠোঠের কাছে, পাছে একটু লেপ্টে না যায়! গালের উপরের গোলাপী সেই পাউডারের কাছে, পাছে একটু কম বেশি না হয়ে যায়! দায় থাকে, আইলাশের কাছে, কাজলের কাছে, ভুরর উঠানামার কাছে, চুলের খোপার কাছে, শাড়ীর আচলের কাছে, ব্লাউজের ভাজের কাছে, সিথির পাশের চুলের কাছে, হাতের নখের কাছে, চুড়ির কাছে, পায়ের নুপুরের কাছে, নেইল পলীশ এর কাছে, কানের দুলের কাছে, নাক ফুলের কাছে, ইয়ে টিয়ে অনেক অনেক অনেক !
এতো দায় রক্ষা করতে গিয়ে তারা যা করেন তা হলো, তাদের চারপাশে থাকা মানুষরা অনেক সময় ই আর মানুষ থাকে না। মানুষ হয়ে উঠে পুতুল, আর পুতুলই ভাবে সে মানুষ! চামড়ার এই সৌন্দর্য রক্ষার দায়ে, সে ভালো করে কারো সাথে কথা বলতে শেখাটা ভুলে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। আরেকটা মানুষকে কিভাবে পাশে রাখতে হয়, অথবা দূরে সরাতে হয়, সেই বিদ্যাও সে ভুলে যায়।
এই বিদ্যা ভুলে যাবার কারনে, যা হয় তা হলো, কেউ কিছু বললেই চেচিয়ে বলে উঠে মা আ আ আ আ আ.... এই ছেলে আমার সাথে দুষ্টামী করে!
বয়স একটু বেড়ে গেলে, আর মাকে ডাকা যায় না, ভাইকে অথবা তাকে ডেকে বলে দেয়! জানো কত বড়ো সাহস, অই ছেলে আমাকে সুন্দরী বলেছে!
আর যায় কোথায়, সুন্দরী বলাটা যে কত বড়ো অন্যায়, সে ধারনা যদি অই ছেলের না থাকে, তবে.....। বাদ দিই, আমরা কেনো শুধু শুধু তবে নিয়ে আলোচনা করবো, আমরা সুন্দরী গুনমুগ্ধ মানুষ!
দায়ে পরে শুধু যে সুন্দরীরাই যাচ্ছেলে উচ্ছন্নে গেছেন তা কিন্তু নয়। এই দায় আছে বলেই, আমাদের অনেকের আবার কোন দায় নেই! মেয়ে সুন্দর হলেই, তার পবিত্র আরো কিছু দায়িত্ব বর্তে যায় মেয়ে ধরাদের হাত থেকে বাচার জন্য। অবিরত অনবরত তাকে শিখতে হয়, কিভাবে চোখ বাচিয়ে, জিভ বাচিয়ে চলতে হবে। বহুকাল আগে বাপ্পারাজের একটা বাংলা ছায়াছবি দেখেছিলাম, বস্তী তে থাকেন নায়িকা, মুখে কালী মেখে, যাতে কেউ তার চামড়ার সৌন্দর্যে প্রলভিত না হয়! একদিন বৃষ্টিতে ধুলে গেলে সব, নায়ক দেখেন একি এযে সুন্দরী, আর যায় কোথায়, সেই থেকে প্রেম ভালোবাসা সব! অথচ এর আগে কিচ্ছুটি ছিলো নাকো, কারন মেয়ে কালো ছিলো!
সুতরাং গনিতের ধরি অথবা মনে করি নয়, আমরা উপসংহার জানি, একমাত্র সুন্দরীদের প্রেম করার অধিকার আছে, এবং একমাত্র চামড়া সুন্দরীরাই গায়ে গতরে এবং মনে ঢেউ তুলবে! ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে তাই রদ বাচিয়ে আমাদের সবাইকেই চলতে হয় সাত সপ্তাহ!
আমার ব্যক্তিজীবনে, আমি খুব কম মানুষকেই দেখেছি, যাদের চারপাশে একটা অদৃশ্য পর্দা তারা বানাতে পেরেছে।
পাশে থাকা যায়, কথা বলা যায়, হাসা যায়, মনের কথাও বেসামাল হয়ে বলে ফেলা যায়। কিন্তু ইনার সৌন্দর্য ছুয়ে দেখা যায় না। সৌন্দর্য তো অনুভবের বিষয়, তারা সেটা অনুভব করিয়ে ছাড়ে। একটাই জিনিষ তারা পারে না, আর তা হলো হুট করে ধুম করে প্রেম এ পড়ে গেলে, হাত ধরে তুলতে জানে না! প্রেম এর মতো জগন্য বিষয় কেনো তুমি ভাবলে, এই বলে তারা ছেড়ে ছুড়ে চলে যায় দূরে দুউউউউরে!
কিন্তু এই মহাজাগতিক হিসেবের কাছে, অতি তুচ্ছ আমরা, একটু আদটু ডানে বামে না দুললে যে ব্যালেন্স থাকে না তা তারা বুঝে না!
এটা বেশ দীর্ঘকাল আমার জন্য, আমি শাড়ী পড়া, বেনী দুলানো, খোপায় কাটা গুজা সুন্দরী দেখি না! দেখি আসলে ছবি দেখি, কিন্তু নড়নে, চলনে, বলনে কাউরে তো আর দেখা হয় না। তাই সৌন্দর্য এবং সুন্দরী বিষয়ে কেমন যেনো সন্দেহ জাগে মাঝে মাঝে!
এই ফরাশ বিছানো ফরাসী মুলুকে, আজ প্রায় ৯০০ দিন পার করে ফেলেছি, মিহি সুতোয় সময় গাথলে মনে হয় আহা কি না পেয়ে গেছি! কত অভিজ্ঞতা, আকণ্ঠ শরাবে ঢুবার স্বাদ।
আধো ঘুম জাগরনে, ব্লেড টানা গালে চুক করে চুমো! তাও আবার শুধু ডানে নয়! বাম গালেরও একই হাল হয়! সেই থেকে ভাবী সুন্দরীরা যদি ছুয়েই না যাবে, তবে এই সৌন্দর্য দিয়ে করবে টাকি?
এই ফরাসী সুন্দরী রমনীদের এতো দায় নেই! টান দিয়ে ঘোমটা দিতে হয় না, চোখ দিয়ে তাকালে অস্বস্তি বোধ করতে হয় না, হাটুর উপরেই থাকে শেমিজ! ঘিন ঘিনে গরমে কালো কিছুর নিচে নয়, বরং ছেলেদেরকে হার মানিয়ে, পুরো পিঠ উদোম রোদে ছেড়ে দিয়ে এরা সমুদ্র স্নান করতে পারে, একটু কালো হবার আশায়। হায় মেতিস! হায় মেতিস বলে (সাদা কালো রঙ মেশানো মানুষ দের মেতিস বলে)
ঠোঠের কোনে লাল লিপিস্টিক একটু লেপটে গেলে, আমরা ধরে নেই, একটু আগের আজকের দিনের প্রথম অথবা শেষ চুম্বনের দাগ সে রেখেই দিতে চাচ্ছে তার কাছে! সুন্দরী দেখলে হা করে বলেই দেয়া যায়, “ভুসাতে বেল”! (হায় তুমি তো সুন্দরী)
হুট করে তার প্রেম এ পড়ে গেলে, বাঙ্গালী চামড়া সুন্দরীদের মতো করে তার বলতে হয় না, ইতর, তোর ঘরে মা বোন নেই! উল্টো এরা খুশী হয়ে পাশে বসায়! খুব দুখী দুখী চেহারা করলে, গালে চুমু খায়! আর বুঝিয়ে ঘরে পাঠায়, অরে এমন করে প্রেম পরতে নেই! ভরসা দেয়, বর্তমানে যার কার কাছে রেখেছি তনু মন, তারে যদি ছাড়ি কভু, তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে আসলে আগে পাবে হিসেবে, তুমিই হবে আমার দ্বীতিয়, তৃতীয়, চতুর্থ! মাত্রা ভেদে বদলে যেতে পারে রঙ!
ইয়েটিয়েঃ- আমাদের দেশে আঙ্গুর হয় না, কারন আমরা অয়াইন বানিয়ে ড্রাম ভরবো না । তেমনি আমাদের অতি সুন্দরী হয় না, এতো দায় রেখে সৌন্দর্য রক্ষা করা যায় না বলে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।