আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুমকি দেইনি: খন্দকার মাহবুব

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যনাল আদালত অবমাননার রুল জারির পর রোববার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এই আইনজীবী নেতা।  
তিনি বলেন, “আমার বক্তব্যে বিচারকদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। কেননা বিচারক কোনো মামালার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন না। তিনি থাকেন নিরপেক্ষ। মামলার বাদী, বিবাদী এবং যারা সাক্ষী দেন, তারাই ওই মামলায় সম্পৃক্ত থাকেন।

বিচারক মামলার সাক্ষী প্রমাণ শুনে তা পর্যালোচনা করে রায় দেন। তার রায় বাদী পক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণের উপর নির্ভর করে।
“আমাদের দণ্ডবিধি আইনেও আদালতে মিথ্যা মামলা এবং সাক্ষী দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই ভবিষ্যতে যদি দেখা যায় যে মিথ্যা মামলা তৈরি করে এবং মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ট্রাইব্যুনালে কাওকে সাজা দেয়া হয়েছে, তবে অবশ্যই আইনত তাদের বিচারের মুখোমুখী হতে হবে। ”
হত্যা, গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানায় বিএনপির আইনজীবী নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই বিচারটি একটি প্রহসনের বিচার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিচার। ইনশাল্লাহ জাতীয়তাবাদী শক্তি যদি ক্ষমতায় আসে, সত্যিকার অর্থে যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের বিচার হবে এবং নির্দোষ ব্যক্তিরা প্রতিহিংসার জন্য যাদের বিচার করা হয়েছে, কাল্পনিক গল্প দিয়ে যে মামলা তৈরি করা হয়েছে, অবশ্যই সেটা চলে যাবে। যারা এই প্রহসনের বিচারে সম্পৃক্ত ছিল, ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে। ”
ওই বক্তব্যের কারণে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল-১ রোববার একটি রুল জারি করে।

খন্দকার মাহবুবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- ২১ অক্টোবর তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে ওই রুলে।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, খন্দকার মাহবুব হোসেন যা বলেছেন, তা বিচার বিভাগের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং বিচার সংশ্লিষ্টদের হুমকি দেয়া হয়েছে।
ওই আদেশ দেয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় বার কাউন্সিলে সংবাদ সম্মেলন করেন খন্দকার মাহবুব।
তিনি বলেন, “আমি ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করি নাই।

আমার বক্তব্য বিকৃত করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ... আমার বক্তব্য কারো প্রতি হুমকি নয়, বরং এটি একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও আইনগত বাধ্যবাধকতা। ”
বিএনপি নেতা মাহবুবের ওই বক্তব্য নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও তুমুল সমালোচনা করেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭২ সালে দালাল আইনে যখন বিচার চলছিল, তখন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপির দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব হোসেন। এখন সেই ‘ঘাতকদের’ পক্ষ নিয়ে খন্দকার মাহবুব কথা বলছেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.