আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেরু ভাল্লুকের দেহাংশের ব্যবসা নিষিদ্ধের দাবি

পোলার বিয়ার অর্থাৎ মেরু ভাল্লুকের চামড়া ও অন্যান্য দেহাংশের আন্তর্জাতিক ব্যবসা নিষদ্ধি করার দাবি তুলেছে একাধিক সংরক্ষণ গোষ্ঠী।
 
এর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মেরু ভাল্লুকের চামড়া ও দেহাংশ দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র, অলঙ্কার ইত্যাদির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই প্রাণী শিকারের বহর বেড়ে গেছে। যা ওদের ক্রমশই এগিয়ে দিচ্ছে বিলুপ্তির পথে।
 
আর অন্য মতাবলম্বীরা বলছেন, মেরু ভাল্লুকের অস্তিত্বের পক্ষে আসল বিপদ বিশ্ব উষ্ণায়নের দরুন মেরু অঞ্চলে অতিরিক্ত বরফ গলন।
 
আগামী বছর মার্চে থাইল্যান্ডে ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন বা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে জাতিসংঘের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

 
এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংরক্ষণ গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন ঘটে গেছে। ব্রিটেনের হিউমেন সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন শ্বেত ভাল্লুকদের অবলুপ্তির প্রায় কিনারায় এনে ফেলেছে, সন্দেহ নেই। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভাল্লুক শিকার খুব বেড়ে যাওয়ায় ওরা পৌঁছে গেছে একেবারে খাদের মুখে।
 
আর সোসাইটির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মার্ক জোন্স বলেছেন, হালে আন্তর্জাতিক বাজারে পোলার বিয়ারের দেহাংশ ভিত্তিক ব্যবসার সম্প্রসারণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ জন্য অতিরিক্ত দাম দিচ্ছেন ক্রেতারা।

গত পাঁচ বছরে এই ব্যবসার বৃদ্ধি প্রায় ৩৭৫ শতাংশ। এক একটি ভালুকের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার মার্কিন ডলারে।
 
এ ব্যবসার বিরোধীরা এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বন্ধের পক্ষপাতী। মার্চে থাইল্যান্ডের বৈঠকে এর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব তুলবেন তারা। রুশ এবং মার্কিন সরকারের এতে সায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

 
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক, পক্ষে-বিপক্ষে মতামত ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মার্চে জাতিসংঘের বৈঠক কোন পক্ষে যায়, সেটাই দেখার হবে। একই সঙ্গে সৌন্দর্য ও শক্তির প্রতীক এই দুর্লভ প্রাণীর সম্ভাব্য বিলুপ্তি রোধ করা অবশ্যই জরুরি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.