আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদের উত্তর মেরু অঞ্চলে বরফের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।



চাঁদের উত্তর মেরু অঞ্চলে বরফের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতীয় নভোযান চন্দ্রযান-১-এর সঙ্গে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস'া নাসার স'াপন করা মিনি-সার নামের রাডারে ওই বরফের অসি-ত্ব ধরা পড়েছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি সম্মেলনে এ কথা জানান নাসার বিজ্ঞানীরা। নাসার মিনি-সার নামের ওই অনুসন্ধানে ৪০টির বেশি বরফখণ্ড শনাক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই বরফখণ্ডগুলোয় হাইড্রোকার্বনসহ বিভিন্ন যৌগের সন্ধান পেয়েছেন।

৪১তম লুনার অ্যান্ড প্লানেটারি সায়েন্স কনফারেন্সে এসব তথ্য উপস'াপন করা হয়। হিউস্টনের লুনার অ্যান্ড প্লানেটারি ইনস্টিটিউটের মিনি-সার গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী পল স্পুডিস বলেন, নাসার হিসাব অনুযায়ী, সেখানে (চন্দ্র মেরুতে) কমপক্ষে ৬০ কোটি মেট্রিকটন ‘ওয়াটার আইস’ (পানি বরফ) রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগ অংশই বিশুদ্ধ বরফ পানি। এই বরফ সম্ভবত কয়েক হাজার সেন্টিমিটার ‘ড্রাই রেগোলিথ’ (চন্দ্রমাটি) দিয়ে ঢাকা রয়েছে, যে কারণে সূর্যালোকিত চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা বরফখণ্ডগুলোও বাষ্পে পরিণত হয়নি। বিজ্ঞানী পল স্পুডিস বলেন, ‘এখন আমরা বেশ আস'ার সঙ্গেই বলতে পারি, চাঁদে মানববসতি স'াপনের ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

এই অভিযানের পাওয়া তথ্য চাঁদ সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। ’ ২০০৮ সালে মনুষ্যবিহীন চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করে ভারত। ওই যানের সঙ্গে মিনি-সার রাডার যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। গত বছর চাঁদের অন্ধকার অংশের মানচিত্র তৈরি করার কাজ করে মিনি-সার। এর আগে ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও চাঁদে পানির অসি-ত্বের প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

এ ছাড়া নাসার এলক্রস অভিযানেও চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে বরফ ও বাষ্পীয় পানির সন্ধান মিলেছে। সংস'ার অ্যামেস রিসার্চ সেন্টারের প্রধান বিজ্ঞানী অ্যান'নি কোলাপরেটে বলেন, ‘চাঁদে বিশুদ্ধ বরফ, বাষ্প ইত্যাদি নানা রূপে পানির অসি-ত্বের সন্ধান মিলেছে সেখানে। ’ ২০১৪ সালে চালু হবে গ্যালিলিও বেশ দেরিতে হলেও ইউরোপীয় কমিশন বহুল প্রত্যাশিত গ্যালিলিও মহাকাশ নেভিগেশন ব্যবস'া নির্মাণের কাজ শুরু করার সবুজ সংকেত দিয়েছে প্রথম ১৪টি স্যাটেলাইট বা কৃত্তিম উপগ্রহ তৈরি করবে একটি জার্মান কোম্পানি। খুব বিলম্বিত হচ্ছিল ইউরোপের গর্বের গ্যালিলিও প্রকল্প ইউরোপীয় কমিশন বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিল যে গ্যালিলিও ২০১৪ সালেই কাজ শুরু করবে অ্যামেরিকার জিপিএস স্পেস নেভিগেশন সিস্টেম-এর বিকল্প হিসেবেই এই ইউরোপীয় প্রকল্পের উদ্ভব। ইইউ'এর মহাকাশভিত্তিক এই নেভিগেশন ব্যবস'ার প্রথম ১৪টি স্যাটেলাইট নির্মাণের জন্য ইউরোপীয় কমিশন জার্মানির ওএইচবি সিস্টেমকে ৫৬৬ মিলিয়ন ইউরোর কন্ট্রাক্ট দিয়েছে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহটি ২০১২ সালের জুন মাসেই তৈরি হয়ে যাবে তারপর ২০১৪ সালের মার্চ মাস পর্যন- প্রতি ছয় মাস অন-র আরও একটি করে স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে।

গ্যালিলিও-র সমর্থকদের দাবি, প্রযুক্তির দিক থেকে এই ব্যবস'া হবে মার্কিন জিপিএস'এর চেয়ে উন্নত কেননা গাড়ি , জাহাজ ও মানুষের আরও বেশি নিখুঁত অবস'ান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবে গ্যালিলিও। গ্যালিলিও নেভিগেশন ব্যবস'ার মোট স্যাটেলাইটের সংখ্যা শেষ পর্যন- গিয়ে দাঁড়াবে ৩২টি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কিছু ছোট আকারের কন্ট্রাক্ট পেয়েছে ইটালি আর ফ্রান্সের কোম্পানি ফ্রান্সের আরিয়ানে স্পেস স্যাটেলাইটগুলোকে মহাকাশে উৎক্ষেপণে সাহায্য করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।