লোকালপ্রেস ইজতেমা নিয়ে আমার দুয়েকটি চিন্তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
১. ধর্মীয় গবেষক ও চিন্তাবিদ, যারা বিশ্ব এজতেমার আয়োজক তারা ভাবতে পারেন, আখেরি মোনাজাতটি বাংলায় পেশ করা যায়-কি-না। বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টিভিগুলো যখন এটি প্রচার করে তখন তা ইংলিশ ভার্ষণ ভয়েস রূপান্তর করে তাৎক্ষণিক প্রচারের ব্যবস্থা করলে সকল ভাষাভাষীর জন্য বোধগম্য হয়। কারণ এখানে অনেক উচ্চ মার্গিয় প্রার্থনা হয়, যে প্রার্থনা সবার জন্যই শিক্ষনীয়। আমাদের প্রার্থনার ভাষার সংকট রয়েছে।
যে কারণে কথা ওঠে ‘আমরা সুষ্টিকর্তার কাছেও ভালো করে চাইতে জানি না’।
২. এত বিশাল একটি জমায়েত। যেটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমায়েত তো বটেই, মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত। এই বিশাল সমাগমে মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য বিশেষ কোন প্রার্থনা (হতে পারে এশা থেকে পরবর্তী ফজরের নামাজ পর্যন্ত টানা কোন বিশেষ নামাজ, হতে পারে মানুষের চেতনা বিশুদ্ধ করার জন্য কোন মগ্নতা তৈরির ব্যবস্থা) রাখা যেতে পারে। অন্তত: বাৎসরিক এই আয়োজনের ভেতর দিয়ে বহু মানুষের কল্যাণের পথে ফিরে আসার একটি ব্যবস্থা হতে পারে।
৩. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বাৎসসরিক রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমায় যান, প্রার্থনায় অংশ নেন। কিন্তু এই ইজতেমার ভেতর দিয়ে দেশের রাজনৈতিক গোড়ামী ও অস্থিতিশীলতা দূর করার জন্য কিছুই করা হয় না। অথচ, এই বিশাল জমায়েতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, রচনা করা যেতে পারে কোন পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের পিয়াসী সারাদেশবাসী।
রাস্তায় দেখছি শত শত ইজতেমা ফেরৎ মানুষ।
বাসে বিড়ি ফুকতে ফুকতে ফিরছে একটি দল। বাসটির স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে। একজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, বাড়িতে কি নিয়ে যাচ্ছেন? কথা নেই। বললাম, কেমন হলো ? মনে হচ্ছে, পিকনিক করে ফিরলেন? হাসতে হাসতে সবাই বললো, হ হ পিকনিকই তো। ফি বছরই আসি।
আসি আর যাই... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।