আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যমুনার চরে ২৫ হাজার পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ

যমুনার চরের ২৫ হাজার পরিবার এখন সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনার নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের এসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা সৌর বিদ্যুতের আলোয় লেখাপড়া করছে। টিভিতে সংবাদ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট এমনকি রাতে কৃষকরা বাড়ির আঙিনায় আলো জ্বালিয়ে ফসল মাড়াইও করছে চরের মানুষ। ২০০৩ সালে প্রথম সারিয়াকান্দি এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু হয়। সারিয়াকান্দির জামথল চরের মুকুল মাস্টার, বকুল মিয়া, মানিক দাইর চরের সায়ের মেম্বার জানান, সংবাদপত্রবিহীন চরগ্রামে তারা এখন টিভিতে খবর দেখছেন।

রাতে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে এবং বাড়ির আঙিনায় আলো জ্বালিয়ে ফসল মাড়াইও করছেন।

নান্দিনার চরের খায়রুল মণ্ডল, মাঝিড়ার জালাল সরকার, সহরাবাড়ির সালাম মিয়া জানান, এই প্যানেলের সাহায্যে দিনে সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে ব্যাটারি চার্জ করা হচ্ছে এবং তা থেকে রাতে আলো জ্বালানো হচ্ছে। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরগ্রাম কাজলা, জামথল, বেনীপুর, কুরিপাড়া, বাটিরচর, চালুয়াবাড়ি, মানিকদাইর, কর্নিবাড়ি, নান্দিনারচর, চন্দনবাইশা, বোহাইল, সংকরপুর, মাঝিড়া, ধারাবর্ষা, গোশাইবাড়ি, শোনপচা, সহরাবাড়ি, পাকুল্যা, টেকানি-চুকাইনগর গ্রামের ২৫ হাজারেরও বেশি পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ শোভা পাচ্ছে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা জানান, ১১ হাজার টাকা থেকে ৭৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়াটের সোলার প্যানেল কেনা যায়। পরিবারের চাহিদা মতো সোলার প্যানেল ক্রয় করেন তারা।

জীবনমানের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে সৌরবিদ্যুৎ। উপজেলার কর্নিবাড়ির শাহজাহান আলী জানান, সবারই অর্থনৈতিক অবস্থা এক নয়। কিন্তু পরিবারের চাহিদার শেষ থাকে না। অনেকেই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সোলার প্যানেল ব্যবহার করছেন। জানা যায়, চরাঞ্চলের মানুষের নদীপথই যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

যমুনার একপাড় থেকে আরেক পাড়ে যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। নদী পার হয়ে উপজেলা পরিষদে কাজ করতে এলে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। কৃষিকাজই এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস। তাছাড়া বাড়ি বাড়ি গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিও পালন করছেন চরের বাসিন্দারা।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।