তিনি বলেছেন,“সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জামায়াত-শিবিরের লোকজনের হাত ধরে চলাফেরা করেন বলে সিলেটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে না। ”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিত মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রায়ের পর সিলেটে দলটির নেতা-কর্মীরা ব্যাপক সহিংসতা ঘটায়। সেখানে পুলিশও হামলার শিকার হয়।
মুহিত বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াত বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
জামায়াতের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯২০ সালে মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড পার্টি গঠিত হয়। ১৯৪০ সালে তার বিস্তার ঘটে পাকিস্তানে এবং সে সংগঠনের নাম হয় জামায়াতে ইসলামী।
“এই ব্রাদারহুডের কারণে মুসলিম বিশ্বে নানা অশান্তির ঘটনা ঘটছে। ”
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলাম বড় ধরনের নাশকতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে তা মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
‘বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার শুরুতেই অর্থমন্ত্রী উপস্থিতদের কাছ থেকে প্রশ্ন আহ্বান করেন।
সাংবাদিক, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, লেখক, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৩ জন প্রশ্ন করেন।
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে সমাজ জীবনে তা চর্চার কথাও তুলে ধরেন মুহিত।
“মুক্তিযুদ্ধের সময় সকলে এক কাঁথার নিচে ঘুমিয়েছি, এক পাতে খেয়েছি, কেউ প্রশ্ন করিনি- কে মুসলমান, কে হিন্দু, আর কে খ্রিস্টান। এর মধ্য দিয়েই সকলের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত হয়েছে। ”
আলোচনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কলামনিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন।
মুহিতের ভাই জাতিসংঘ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি একেএ মোমেন ও মিশনের প্রেসসচিব মামুন-অর রশীদও সভায় বক্তব্য দেন।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে নিউ ইয়র্কে পৌঁছে সন্ধ্যায়ই এই আলোচনা সভায় যোগ দেন অর্থমন্ত্রী। বুধবার সকালে তার ওয়াশিংটনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।