আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে চট্টগ্রামের দুটি স্থায়ী ও ছয়টি অস্থায়ী হাটে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু আসতে শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে হাট পুরোদমে জমে উঠবে বলে আশা করেছেন ইজারাগ্রহীতা ও বিক্রেতারা।
ইজারাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও দেশি গরুর প্রাধান্য থাকবে। পাশাপাশি ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, দিনাজপুর, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও নীলফামারী থেকে গরু এসেছে। সরবরাহ ভালো থাকায় দামও তুলনামূলক কম ছিল।
নগরের দুটি স্থায়ী পশুর হাট সাগরিকা ও বিবিরহাট বাজার ছাড়াও কর্ণফুলী বাজার, সল্টগোলা রেল ক্রসিং, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, পোস্তার পাড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, স্টিল মিল ও কমল মহাজন হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে পোস্তার পাড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শুধু ছাগল বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে দুই কোটি দুই লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৪ টাকায় এসব হাট ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন।
সরেজমিনে সাগরিকা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে হাট। কথা হয় হালীশহর এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অনেক দরদামের পর ৩৭ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। ঈদ ঘনিয়ে এলে দাম বাড়তে পারে, এটা মাথায় রেখেই এবার একটু আগে গরু কিনেছি। ’
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পশুর হাট সাগরিকায় এবার পশুর সরবরাহ বেশ ভালো।
বাজারের ইজারাগ্রহীতা সাইফুল হুদা মো. জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে জানান, বাজার ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। তবে শুক্র-শনিবার থেকে পুরোপুরি জমবে হাট। এ হাটে সর্বোচ্চ তিন থেকে চার লাখ টাকা দামের গরু উঠে বলে জানান তিনি। এখানে ছোট আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের গরু ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায়।
আর বড় আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে লাখের ওপরে। স্টিলমিল গরুর হাটে ফরিদপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন আবদুর রহিম। তিনি জানান, এই হাটে এবার সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে।
পোস্তারপাড়ে হাটের ছাগল বিক্রেতা সাইফুল আলম জানান, এই হাটে ছাগল বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকায়। এখানে এবার ৮০ হাজার টাকা দামের দুটি ছাগল উঠেছে।
চট্টগ্রামের ছয়টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে তিনটির ইজারা নিয়েছেন মো. সাইফুদ্দিন। এগুলো হচ্ছে পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, স্টিল মিল হাট ও কমল মহাজন হাট। নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও এসব হাটের অবস্থান পাশাপাশি। সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন হাটে প্রায় ছয় হাজার গরু বিক্রি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে এখনো বাজারে তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
তবে শুক্রবার থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠবে হাটগুলো। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।