শনিবার ৬১ বলে ২৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন সোহাগ। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের মতো খেলে ১৫৯ বলে শতকে পৌঁছান তিনি। কোরি অ্যান্ডাসনের বল তার মাথার ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করে অর্ধশতকে পৌঁছানো সোহাগের শতক আসে ডগ ব্রেসওয়েলের বলে পয়েন্ট দিয়ে চার হাঁকিয়ে।
সাতজন ফিল্ডারকে সীমানায় রেখেও সোহাগকে শতক বঞ্চিত করতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। রবিউল বিদায় নেয়ার সময় ৯৬ রানে অপরাজিত এই ব্যাটসম্যান দারুণ সহায়তা পেয়েছেন এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেনের।
তিনি দুই বল ঠেকাতে না পারলে সঙ্গীর অভাবে শতক বঞ্চিত হতেন পটুয়াখালীর এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ৫০১ রান পর্যবন্ত নিয়ে যাওয়া সোহাগ অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। তার ১৬১ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা।
শতক করার পথে ট্রেন্ট বোল্ট, ডগ ব্রেসওয়েল, কোরি অ্যান্ডারসনের পেস বোলিং বিন্দুমাত্র সমস্যায় ফেলতে পারেনি সোহাগকে। ব্রুস মার্টিন, ইশ সোধি আর কেউ উইলিয়ামসনের স্পিনও সামলেছেন অবলীলায়।
এর মধ্যে ব্রেসওয়েল, মার্টিন ও উইলিয়ামসনকে একবার করে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন তিনি।
সপ্তম টেস্টে এসে প্রথম শতকের দেখা পাওয়া সোহাগের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩২। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দুটি শতকের অধিকারী এই ব্যাটসম্যান সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন, এবার ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে চান তিনি।
শুক্রবার তৃতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর মাঠে নামেন সোহাগ। সে সময় দলের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৩০১ রান।
শতক করার পথে নাসির হোসেনের সঙ্গে ৭০ ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে ১০৫ রানের দুটি চমৎকার জুটি গড়ে দলকে লিড এনে দিয়েছেন তিনি।
চলতি টেস্টেই এর আগে প্রথম শতকের দেখা পান মমিনুল হক।
বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আট নম্বরে শতক পেলেন সোহাগ। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খালেদ মাসুদ পাইলট ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এই পজিশনে ব্যাট করতে নেমে শতক পেয়েছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।