দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটিশ ভারতে ট্রেন যোগাযোগের ইতিহাস সবচেয়ে পুরনো। স্টিম ইঞ্জিন চালিত সেসব রেলগাড়ির দিন ফুরিয়ে গেছে। এখন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গতির সঙ্গে লড়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের দেশেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে। সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে অল্প দূরত্বে দ্রুতগামী রেল যোগাযোগ।
ডিজেল-ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট বা ডেমু ট্রেন নামেই এটি সবার কাছে আলোচিত। সাধারণ যাত্রীবাহী রেলগাড়ির বিপরীতে এর গতি বেশি। তুলনামূলক বিবেচনায় অন্য রেলগাড়ির তুলনায় এটি যাত্রী পরিসেবায় উন্নত। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের বিপরীতে এ ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু করায়, আশা করা যায়, শীঘ্রই উন্নত দেশগুলোর মতো আরও আধুনিক হবে এই দেশের ট্রেনগুলো। ডেমু ট্রেনের প্রতিটিতে তিনটি বগি মিলে এর মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ১৮০ ফুট।
সামনে এবং পেছনের বগির শেষ প্রান্তে রয়েছে চালকের বসার কেবিন। দুদিক
থেকে ট্রেন চালানো যায়। ইঞ্জিন আলাদা করে জুড়ে দেওয়া নয়, বগির নিচেই রয়েছে ইঞ্জিন।
গড়ে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে চলাচলের উপযোগী করে এসব ট্রেনে জ্বালানি ধারণক্ষমতা ও ইঞ্জিনের কার্যশক্তি নির্ধারিত রয়েছে।
ইতোমধ্যে রেলওয়ের
পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন পথে চালাতে মোট ২০ সেট ডেমু ট্রেন চীন থেকে আমদানি করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে আট সেট ডেমু ট্রেন দেশে এসে পেঁৗছেছে। চীনের তানসাং রেলওয়ে ভ্যাহিকেল কোম্পানি থেকে ট্রেনগুলো কেনা হয়। আপাতত ডেমুই বাংলাদেশের আধুনিক ও সর্বশেষ সংযোজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।