রোববার মারা যাওয়া নুরুন্নবী (২৭) একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি সেখানে গ্রেনেড বানাচ্ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
নুরুন্নবী নগরীর বন্দর কলোনি এলকার ৯ নম্বর রোডের বাসিন্দা নুরুল হকের ছেলে।
বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে ঢাকেম পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. শহিদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত সোমবার বিস্ফোরণে আহত নুরুন্নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী পরিচালিত জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি লালখান বাজার মাদ্রাসা নামে পরিচিত।
সোমবার সকালে মাদ্রাসার দারুল ইফতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়।
গ্রেনেড তৈরির সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানায় পুলিশ। আহতদের গ্রেপ্তারও করা হয়।
আহতদের মধ্যে দুই মাদ্রাসা ছাত্র এর আগে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তারা হলেন- মো. হাবিব (২৫) এবং জোবায়ের হোসেন (২৩)।
বিস্ফোরণের পর পুলিশ নগরীর দুটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে হাবিব,জোবায়ের, নুরুন্নবী ও সালমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা যাওয়ার পথে নগরীর সিটি গেইট এলাকা থেকে সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সাহাবুদ্দিনকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও ওই বিস্ফোরণে আহত হন।
এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে হারুন বিন ইজাহারসহ সাতজনকে আসামি করে বুধবার রাতে খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
হারুন গ্রেপ্তার হলেও তার বাবা পলাতক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।