শনিবার গভীর রাতে শহরের সাহাপাড়ায় ও মুকসুদপুরের দুর্বাসুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাহাপাড়ার শেখ মাসুদুর রহমার রাবেট (৪৫) ও দুর্বাসুর গ্রামের অরবিন্দু বিশ্বাসের স্ত্রী ক্ষমা বিশ্বাস (৪০)।
মুকসুদপুর থানার ওসি ফেরদাউছ হোসেন জানান, দুর্বাশুর গ্রামের অরবিন্দু ওরফে বিন্দু বিশ্বাসের কলেজ পড়–য়া মেয়ে তপু বিশ্বাসকে পাশের দিস্তাইল গ্রামের রমেশ বাকচীর ছেলে অজিৎ বাকচী দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দুর্বাশুর গ্রামের দুর্গাপূজার মণ্ডপে ঘুরে তপু তার মা ক্ষমা ও ভাই অপুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে বখাটে অজিৎ কলেজছাত্রী তপুকে উত্ত্যক্ত করে।
তপুর মা ও ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
অজিৎ এ সময় তপুর মা ও ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ক্ষমা বিশ্বাস মারা যান।
অন্যদিকে গোপালগঞ্জ শহরে পূজার অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিকদারপাড়ার দিলীপ কুমার সাহা দিপু ও সাহাপাড়ার অস্ট্রিয়া প্রবাসী শেখ মাসুদুর রহমান রাবেটের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া ঠেকাতে এসে রাবেটের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে গৌর সাহার কপাল কেটে যায় বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. জাকির হোসেন মোল্লা জানান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত পৌনে ১টার দিকে সিকদারপাড়ার লোকজন গিয়ে রাবেটের ওপর হামলা করে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। গুরুতর অবস্থায় গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে রাবেটের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। সিকদারপাড়া ও সাহাপাড়ায় পুলিশমোতায়েন করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।