বিষয়: রোমান্টিক গল্প।
কাচা হাতের লেখা,ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। আশা করি ভাল লাগবে
_____________________________
ইউএস থেকে আজ বাংলাদেশ ফিরছি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর।
নিজের দেশ, তাই স্বভাবতই সবকিছু নিজের নিজের লাগছে।
কিন্তু একটা জিনিস নিজের লাগছে না।
কেমন যেন!
জানি না কেন?
হয়তো স্বাভাবিক।
সাধারনত সবাই এত বছর পর হঠাৎ দেশে আসে বিয়ে করতে।
আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
হুম
বিয়ে করতেই যাচ্ছি।
বিয়েটা আকস্মিক আমার জন্য।
বিয়ের প্রতি কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না, আর না ছিল কোন মেয়ের প্রতি।
পরিবার থেকে চাপ দেওয়ার কারনেই রাজি হয়ে গেলাম।
এখোনো দেখিনি মেয়েটাকে একবারও। যদিও ওর ছবি মেইল করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু সেটা দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি নি।
আমার কাছে দেখার মত ছবি হয়তো ওটা না।
ভাবছেন আমার কাছে তাহলে দেখার মত ছবি কোনটা?
দাড়ান দেখাচ্ছি।
এই যে, এই ছবিটা দেখছেন এই যে আমার মানিব্যাগ এ এইটাই আমার দেখার মত ছবি।
হয়তো এটাই কারন যার জন্য অন্য কোনো ছবি দেখার মত ইন্টারেস্ট পাই না।
ভাবছেন এই ছবি কার?
এটা নীলার।
ওর ভালো নাম কি আমার তা মনে নেই।
এই নামেই আমি ডাকতাম।
এই পচ্চি মেয়ের ছবি দেখে হাসি পাচ্ছে না?
পাবারই কথা।
যাইহোক
আমার ছোটোবেলার বন্ধু ছিল।
একসাথে থাকতাম সারাক্ষন।
আমি যখন আমেরিকা যাই তখন খুব কেদেছিল।
আমার খুব খারাপ লেগেছিল।
তাই ওর একটা ছবি নিয়েছিলাম চুপিচুপি।
সেটা আছে এখনো।
কিন্তু সে নেই আমার আয়ত্তে।
খোজার কোনো উপায়ও নেই..............
।
।
তিন মাস হয়ে গেছে বাবার সেই পছন্দের পাত্রী কে বিয়ে করেছি। কিন্তু আজও কোনো সখ্যতা হয়নি তার সাথে। আপনি- আপনি ঈ কাটেনি এখনো।
। না সে এগিয়েছে না আমি। তাই আজ সবকিছু পরিস্কার করার সিন্ধান্ত নিলাম। জীবনের
কথাগুলো লিখে ফেললাম। ঠিক যেভাবে আপনাদের কাছে লিখলাম ঠিক এইভাবেই তারপর সেই ছবিটা আর কাগজটা তার হাতে দিলাম।
....
আমার চিঠিটা পড়ে কাদছে সে। ঘাবড়ে গেলাম আমি। কিন্তু কিছু বলতে পারলাম না। সে একটা খাম দিল আমার কাছে।
খামের ভিতর একটা ছবি।
ছবিটা দেখতে আমার ছোটবেলার ছবির মতই।
জড়িয়ে ধরলাম তাকে........
আমার মুখ থেকে একটাই শব্দ বের হল- নীলা......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।