আমার মাঝে আমি,নিজেকে বার বার খুজি । জয় হোক স্বপ্নের,সত্যি হোক জীবনের আশা । মানুষের মাঝে মানুষ,উড়ায় হৃদয়ের ফানুশ ।
রাস্তায়
অনেকগুলো বাচ্চা দৌড়াদৌড়ি করছি।
ছোট বাচ্চা, বয়স আর কতই বা হবে, ১১
কিংবা ১২ ।
তবে আমাদের পরিবারের বাচ্চা ও
তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে।
আমি মানে ফেইসবুকার তোরাবের মত জীবন
তাদের নয়। তাদের জীবন আমাদের সংসারের
ছোট বাচ্চাদের মতও নয়। তাদের দেখলে,
তাদের পোশাকের দিকে তাকালে বোঝা যায়,
এরা কোন শ্রেণীর মানুষ। তারা সমাজের
সবচেয়ে নিচু স্তরের মানুষ।
একটিবার তাদের দিকে তাকিয়েছেন কখনো?
তারা সর্বদা তিন-চার জন এক সাথে চলে।
তাদের গায়ে সুন্নাতি পোশাক, সাদা রঙের
পাঞ্জাবী-পায়জামা। তাদের সেই পাঞ্জাবী-
পায়জামার দিকে তারালে বুঝতে পারবেন,
সেগুলো একদম ফিনফিনে পাতলা,
কখনোবা ছেড়া পোশাক। তাদের মুখের
দিকে চেয়ে দেখুন, সেগুলো মলিন।
সেগুলোতে হাসি ফুটে না।
তাদের
জীবনে হাসি আসে না। তারা গরিব, তাদের
পিতা-মাতা নেই। তারা এতিম,
তারা মাদ্রাসা ছাত্র।
দিন দিন আমার মাঝে অল্প অল্প পরিবর্তন
আসছে, আমি জানি, আমি বুঝতে পারছি। গরিব
মানুষ দেখলে, তাদের কথা ভাবলে কষ্ট লাগে।
আমি বুঝি তাদের কষ্ট, তাদের সাহায্য
করতে ইচ্ছে করে, কিন্তু পারি না। pizza
hut, kfc, bfc এগুলোতে পয়েক হাজার
টাকা খেয়ে উড়িয়ে দিলে কষ্ট লাগে না। কিন্তু
১০ টাকা দান করাও অনেক কষ্টের কাজ।
দান করতে অনেক শক্তিশালী মনবল
থাকতে হয়, যা আমার নেই। তবু একটু
চেষ্টা করলে ক্ষতি কি হয়, বলুন তো? তাদের
যায়গাতে "আমরা"ও তো হতে পারতাম,
পারতাম না?
"আমরা" বলতে আপনি কিংবা আমি।
জন্ম
হতে পারতো পতিতালয়ে, কিংবা কোন
আত্মীয়-স্বজনহীনের ঘরে। জন্মে আমার
বা আপনার কি দোষ, বলুন তো??
সামুর বড় বড় ব্লগার নোমান নমি, অপু
তানভীর, দ্বাসত্ব, রাফা, কাল্পনিক
ভালোবাসা কিংবা ব্লগ মাতা জানা,
তারা পৃথিবীতে যেভাবে এসেছেন, ওরাও
তো একই ভাবে পৃথিবীতে এসেছে। তাদের
কি দোষ, বলুন তো? আমি গরিব
ঘরে জন্মেছি, এটা কি আমার দোষ?
সামনে কুরবানি। আসুন না, একটু মানবিক হই,
মানুষকে একটু দান করতে শিখি। কোরবানির
গোস্ত দিয়ে ডিপ ফ্রীজ না হয় একটু কম
ভরলাম।
তিন ভাগের আড়াই ভাগ দান
করে দিলাম এই এতিমদের। সারা বছর
তো আমরা অনেক গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস
খাই। এই ঈদে না হয় একটু কমই খেলাম। ডিফ
ফ্রীজে না হয় একটু কমই রাখলাম।
পারলে আসুন না, একটু দয়াবান হয়ে, একটু
সাহস করে দান করি এই গরিব ইয়াতিম
শিশুদের।
একটু হাসি ফুটাই তাদের মুখে।
কোরবানিতো গরিবদের জন্যেই, আসুন
না একটু দান করি।
অফ টপিক: মাদ্রাসা ছাত্র বললে একদল
লোক জঙ্গি, বোমা বাজ
ইত্যাদি বলে দৌড়ে চলে আসে। ঠিক আছে,
তারা খারাপ। তাহলে সাহায্য বস্তির গরিব
শিশুদের করুন।
তারা তো বোমা বানায়া না,
জঙ্গিগিরি করে না। বাবার হারাম
টাকাতে তৈরি বিশাল বিল্ডিংয়ে থেকে কসাই
দিয়ে গরু কোরবানি করে কোরবানির
কি মাহাত্ব বুঝা যায় ভাই?
না, যায়।
কোরবানি আল্লাহ্র বান্দাদের জন্য।
হ্যডাম ওয়ালা ফেইসবুকার কিংবা ব্লগারের
জন্য না। কোরবানি দেয়ার মত সামর্থ্য
আমার নেই।
ইচ্ছে আছে, জীবনের প্রথম
কোরবানির গোস্তের আত্মীয়-স্বজনের
ভাগ রেখে বাকি দু'ভাগ গরিব-মিস্কিনদের দান
করব। আমার জন্য দুআ করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।