নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি
কণ্ঠশিল্পী
২০১২ সালের ঈদটা আমার কাছে সবচেয়ে স্মরণীয়। গত বছরের ঈদ মায়ের সঙ্গে কাটানো শেষ ঈদ। মনে পড়ে, সে ঈদে মা ( জোৎ¯œা হক ) খুব অসুস্থ ছিলেন। মায়ের এই অসুস্থতায় আমার খুব অভিমান হল। মাকে বললাম, তুমি ঈদ এলেই অসুস্থ হয়ে পড় কেন ! মা হাসতেন।
অসুস্থতা নিয়ে মা আমার প্রিয় চালের রুটি, গরুর মাংসের ভুনা রান্না করলেন। ঈদের সকালে আমার এই আইটেম দুটো না হলে চলবেই না। বড় ভাইয়ার পছন্দ ভুনা খিচুড়ি। আমাদের তিন ভাইবোনের জন্য মাকে যে কত পদ রান্না করতে হয়েছিল। তারপর মাংসের ভাগ-বাটোয়ারা তো আছেই।
বেলা গড়াতেই আত্মীয়-স্বজনরা আসতে শুরু করলেন। তাদের আপ্যায়নের ভার মা নিজের কাঁধে তুলে নিতেন। কোনো কাজেই আমি মাকে সাহায্য করতাম না। মা একা একা কী করে যে সব সামাল দিতেন। এতটুকু বিরক্ত হতেন না।
সে ঈদের পর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ডিসেম্বরে মা আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন চিরতরে।
আজ ঈদ। মাকে খুব মনে পড়ছে। নেত্রকোণার বাড়িতে আমরা তিন ভাইবোন এসেছি।
শুধু নেই মা। অভ্যাসমত রান্না ঘরে ঢুঁ মারছি- কখন মায়ের রান্না হবে। কখন চালের রুটি আর ভুনা নিয়ে খেতে বসব।
আজ আনন্দের দিনেও বাড়ি জুড়ে কেমন নিরবতা । মা নেই।
স্বাগতা
স্বাগতা
স্বাগতা
অভিনেত্রী
তখন আমি খুব ছোট। কোরবানি ঈদ পড়েছে একুশে ফেব্রুয়ারিতে। ঈদের সকালে আমরা তিন ভাইবোন সেজেগুজে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি, একটাও বাচ্চা নাই। সবাই ঈদ নিয়ে ব্যস্ত।
আমার খুব গর্ব হল, আমরা আর সবার মতন নই। আনন্দের দিনে দেশের কথা ভুলে যাইনি।
একটু বড় হলাম। এ ঈদে ঘটে গেল ভীষণ এক কা- ! আমাদের কোরবানির গরু শিং উঁচিয়ে বাবাকে গুঁতো মেরে দিল। বাবা মুখে দারুণ আঘাত পেলেন।
চারটা দাঁত নড়ে গেল। দাঁতের ব্যথায় কাতর বাবা গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার ভুলবশত: বাবার আরও পাঁচটা দাঁত ফেলে দিলেন। সে থেকে বাবা দুই পাটিতে নয়টি দাঁত নেই। কোরবানি ঈদের সে ঘটনা মনে করে বাবা আজও আঁতকে ওঠেন।
পারতপক্ষে কোরবানির গরুর কাছে যান না বাবা।
মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন চৌধুরী
মেহজাবীন চৌধুরী
অভিনেত্রী
আমার ছোটবেলা কেটেছে দুবাইতে। একবার ঈদে দেশে এসেছিলাম আমরা। চট্টগ্রামে নিজেদের বাড়ি যাচ্ছি , কী আনন্দ ! ওদিকে আমাদের আগমন উপলক্ষে বাড়ি জুড়ে নানা আয়োজন। জ্ঞান হওয়ার পর সেটাই ছিল বাংলাদেশে আমার প্রথম ঈদ।
কোরবানি ঈদে দারুণ মজা করেছি। গরু নিয়ে কাজিনদের সঙ্গে কত মজা করেছি। চট্টগ্রামের ভাষা বুঝতাম না। কাজিনরা এ নিয়ে আমাকে ক্ষেপাত।
সামিহা খান
সামিহা খান
সামিহা খান
অভিনেত্রী
২০১১ সালের ঈদ আমার কাছে খুব স্পেশাল।
পড়াশোনার সুবাদে অনেকগুলো ঈদ কেটেছে শিলিগুড়িতে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ঈদ করেছি সেবার। সে ঈদ ঘিরে আমার কত আনন্দ ! কোরবানির গরু আসার পর আমি সারাদিন গরু নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিলাম। ঈদের দিন ঘরে ছিলাম।
তার পরদিন ছোটবেলার সব বন্ধু বাড়িতে চলে এল। দিনভর আড্ডা দিয়েছি। ঘুরতে গিয়েছি। সে স্মৃতি সহজে ভোলার নয়।
সায়মন
সায়মন
সায়মন
অভিনেতা
ঈদ নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি।
ঢাকায় আসার আগে শেষ ঈদের গল্পটা বলি। আমি ভীষণ দুরন্ত প্রকৃতির। শোলাকিয়া ঈদগাহ্ ময়দানে নামাজ পড়ে বন্ধুদের নিয়ে ছুটলাম কিশোরগঞ্জ শহরের এক বাইসাইকেল স্টোরে। তারপর সাইকেল ভাড়া করে চলে গিয়েছিলাম চামড়াবন্দর। সেখান থেকে নিকলী, করগাঁও ঘুরে আবার শহরে।
ঘরে ফিরেছি রাতে। তারপর মায়ের সে কি বকুনি ! আমি খুব অভিমান করেছিলাম সেদিন। পরে মা-ই সে অভিমান ভাঙ্গান। সিনেমার নায়ক হওয়ার পর বন্ধুরাও কেমন দূরে সরে গেছে। এখন আর সারাবেলা ঘুরে বেড়াই না।
ঘরেই থাকি।
আজ ভোরবেলা ফেলে আসা সে ঈদের গল্পটাই মনে পড়ছে বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।