একইসঙ্গে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে সংঘাতের রাজনীতি পরিহারের আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধিতামুখী রাজনীতিবিদদের মধ্যেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রক্ষা করা ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য যৌথ স্বার্থ রয়েছে।
“নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক করেন, তারপরও অর্থনৈতিক সত্ত্বাকে এর বাইরে রাখার সুযোগ রয়েছে। ”
ধানমণ্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে চলতি অর্থবছরের বাজেটের তিনমাস পরের ও নির্বাচনের তিনমাস আগে দেশের বর্তমান অর্থনীতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে জীবন-জীবিকা ব্যাহত না করা, সম্পদ নষ্ট না করা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ না করতে রাজনীতিকদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে।
দেবপ্রিয় বলেন, “অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর আগেও তারা (রাজনীতিকরা) ঐকমত্য দেখিয়েছেন। বাটেক্সপোতে সরকারি ও বিরোধীদল উভয় পক্ষের নেতারাই আসেন। এটাকে আরো সম্প্রসারণ করেন। ”
এসময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “রাজনীতিবিদদের ছবক দেওয়ার জন্যই কী আজকের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে?”
উত্তরে দেবপ্রিয় বলেন, “আমাদের কাজ বিশ্লেষণ করা, জ্ঞানচর্চা করা। কাউকে ছবক দেওয়ার ধৃষ্টতা এই অধমের নেই।
”
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক ব্যবসায়িক চক্রে প্রবেশ করেছে। তাই নির্বাচনের বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে, কিন্তু রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
“চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও তা হবে ৬ শতাংশের কম। এর আগের তিনটি নির্বাচনের বছরেই লক্ষ্যমাত্রা আগের বছরের তুলনায় কম ছিল। ”
“তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ বাড়ানোর ফলে নির্বাচনের বছর রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
কমে যাবে সরকারি বিনিয়োগ ও কর আদায়ের হার। ”
উন্নয়ন ব্যয় কম হওয়ায় বাজেট ঘাটতি কম হবে বলেও মনে করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।