আজ পহেলা নভেম্বর। নরসিংদী পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় তুললেও দীর্ঘ দুই বছরে মামলার তেমন অগ্রগতি নেই। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত অধিকাংশ আসামির নাম না থাকায় উচ্চ আদালতে অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে সিআইডির মাধ্যমে পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে বাদীর করা নারাজি আবেদন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে না-মঞ্জুর হলে সর্বশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
পরে উচ্চ আদালতে অভিযোগপত্র বাতিল করে সিআইডির মাধ্যমে পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে বিচারকাজ স্থগিত করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ আলী বলেন, পুলিশ সঠিক চার্জশিট দেয়নি, তাই আমরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আমরা আশা করছি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ পাব। মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলী বলেন, আমরা চাই না প্রতি বছর শুধু কবরে ফুল দিয়ে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি, সেই শান্তিটা আমরা চাই না।
আমরা চাচ্ছি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি হোক। প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের জন্যই আলোচিত এ হত্যা মামলাটির বিচারকাজ থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই, নরসিংদী পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। আওয়ামী লীগ নেতা ডা. সুদর্শন বিশ্বাস বলেন, মেয়র লোকমান নরসিংদীর জন্য একটি মডেল ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনা আমাদের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা বিচার পাইনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।