আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদ্মা সেতুর দরপত্র জমার সময় আরেক দফা বাড়ল

আগামী ৪ নভেম্বরের পরিবর্তে মূল সেতু নির্মাণে দরপত্র জমা দেয়ার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ ডিসেম্বর।
মঙ্গলবার সেতু বিভাগ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত জুন মাসে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সরকার, যাতে চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মানে দরপত্রে প্রথমে ৯ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা দেযার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। পরে তা ৮ সপ্তাহ সময় বৃদ্ধি করে ৪ নভেম্বর করা হয়।


সেতু বিভাগের ঊধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আগ্রহ প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতেই দরপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চায়না জটিং মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রপ কোম্পানি লিমিটেড, স্যামসাং সি অ্যান্ড টি কর্পোরেশন এবং ডেনিম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড দরপত্র নথি সংগ্রহ করেছে।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠান হলো ভিঞ্চি-এইচসিসি জয়েন্টভেঞ্চার অব ইন্ডিয়া-ফ্রান্স।
এ প্রকল্পের জন্য প্রাকযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ঠিকাদাররাই এই দরপত্রে অংশ নিতে পারছে।
৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে।

পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
মহাজোট সরকারের অন্যতম এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।   
এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়েছে। জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হচ্ছে প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা।
যোগাযোগমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, নদী শাসন, মাওয়া ও জাজিরা এপ্রোচ রোড, সার্ভিস এরিয়া, পুনর্বাসন, সুপারভিশন কনসালটেন্ট, কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, টোল প্লাজা, ভূমি অধিগ্রহণসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।


বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঝুলে যায়।
দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি ডলার।
বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়। চীন ও মালয়শিয়া সেতু নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়ে আলাদা বিনিয়োগ প্রস্তাব দিলেও সেগুলো সরকারের সায় পায়নি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.