ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা জয় দিয়েই করতে পারত পাকিস্তান। সেটা যে হয়নি তার কারণ হিসেবে অনেকেই বলেছিলেন শহীদ আফ্রিদির দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কথা। জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকার সময় মারমুখী এই ব্যাটসম্যান যে অহেতুক শট খেলে আউট হয়েছিলেন। তুমুল সমালোচনা, তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবির মুখেই আবার দলের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেট দলে যে তিনি এখনো অপরিহার্য, সেটা পরের ম্যাচেই প্রমাণ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
স্বল্প পুঁজি নিয়েও পাকিস্তান যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে, তার নেপথ্যে মূল ভূমিকা ছিল ৩৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারেরই। সব সমালোচনার জবাব আফ্রিদি দিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটা হাতে নিয়েই।
গতকাল ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৯ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও পাকিস্তান পেয়েছে ৬৬ রানের জয়। সমতা ফিরিয়েছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে। আর পাকিস্তানের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন প্রথম ম্যাচের খলনায়ক আফ্রিদিই।
২৩তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে প্রথম বলেই তুলে নিয়েছিলেন ডু প্লেসিসের উইকেট। পরের ওভারে প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে সাজঘরমুখী করে পাকিস্তানকে বসিয়েছিলেন চালকের আসনে। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ইমরান তাহিরের উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকেছিলেন এই ডানহাতি স্পিনার।
শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্সটা ভালোই দেখিয়েছিলেন আফ্রিদি। ১৪৮ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর পাকিস্তান যে ২০০ রানের কোটা পেরোতে পেরেছে, এর পেছনে ভালো অবদান ছিল আফ্রিদির ২০ বলে ২৬ রানের ইনিংসটির।
প্রথম ম্যাচ শেষে কঠোর সমালোচনাই কি তাহলে অনুপ্রাণিত করেছে আফ্রিদিকে? সেটা জানা না গেলেও হতাশাজনক হারটা থেকে যে অনেক কিছু শিখেছেন সেটা নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসেও বলেছেন সে কথাই, ‘গত ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সবাই উপলব্ধি করেছিল যে আমরা গত ম্যাচটা হেরেছিলাম খুবই বাজেভাবে। আর আজ আমরা খুবই ভালো খেলেছি। আরব আমিরাতে খেলাটা সব সময়ই নিজ দেশে খেলার মতো।
দর্শকদের কাছ থেকেও আমরা খুব ভালো সমর্থন পেয়েছি। তাদেরকে ধন্যবাদ। ’
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কারটা পেলেও সব সময় বোলিংটাকেই বেশি প্রাধান্য দেন বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি, ‘ব্যাটিংটা আমার একটা বাড়তি সুবিধা। কিন্তু আমি সব সময়ই বেশি মনোযোগ দিই আমার বোলিংয়ের ওপর। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।