সবটাই চাই। তুমি নয় খানিকটাই দিও,তাও না পারো তো-কিছুই চাইনা। তবুও সবটাই চাইতে চাই। চাইতে দিও.. উন্নত, উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত যেমনই হোকনা কেন, একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি এবং সম্পদ হলো জাতীয় ইস্যুতে দল-মত-নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য এবং মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ। মূল্যবান দুটি সম্পদই আমাদের ছিল এবং অতীথতের বিভিন্ন সংকটময় মুহুর্তে আমরা এর প্রমাণও দিয়েছি অসংখ্যবার।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নামের ক্ষমতাসীন এই দলটি একটু একটু করে গলাটিপে হত্যা করেছে আমাদের ঐক্য এবং মানবতা নামের দুটি অমূল্য সম্পদকে।
আপনি আওয়ামিলীগ করেন, আপনি যত ভাল মানুষই হন না কেন, আপনার মতামতের দুই পয়সা দাম নাই আমার কাছে। আমি বিএনপি করেন, আমার কাজ-কর্ম, মতামত-বিচারবিবেচন যতই গঠনমূলক হোক না, আমাকে গোণার সময় আপনার নাই!!
গতকাল হেফাজতের শত শত কর্মী মারা গেল, আপনি আওয়ামিলীগ করেন বলে আপনি উল্লাস করলেন। ফটিকছড়িতে আওয়ামিলীগের অনেক নেতাকর্মী মারা গেল, আমি বিএনপি করি বলে উল্লাস করলাম। ইলিয়াস আলী গুম হলো, বিএনপির নেতা বলে আপনি পাত্তাই দিলেন না।
বিশ্বজিত মারা গেল, নিজের দলকে বাঁচাতে আপনি এড়িয়ে গেলেন।
তাজরিনে শতাধিক শ্রমিক পুড়ে কয়লা হলো, দলের ইমেজ বাঁচাতে আপনি দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেন। সাভারে হাজার খানেক গার্মেন্টসশিল্প শ্রমিক পিষ্ট হলো, দলের পিঠ বাঁচাতে আপনি এড়িয়ে গেলেন।
এই যে বিভাজন, নীতির প্রশ্নে আপস, বিপক্ষের কেউ মারা গেলে নগ্ন নৃত্য, এই সংস্কৃতি তো আমাদের ছিল না। আমরা তো বীরের জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলাম।
আমরা ব্রিটিশদের তাড়িয়েছি, পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছি, স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়েছি একে অপরের হাতে হাত রেখে। তাহলে আজ কেন এই বিভাজন??
বিরুদ্ধ মতকে দমন করো, অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠকে রুদ্ধ করো, কে শুরু করেছে এই নিয়ম?
মানুষের মৃত্যুতে মানুষ উল্লাস করে, আমাদেরকে কে শিখিয়েছে এই সংস্কৃতি?
টুপি দেখলেই গুলি করতে হবে, কে শুরু করেছে এই সংস্কৃতি?
পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে কে??
খুনি হাসিনা জবাব চাই.. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।