আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ন্যায্য মজুরি দিন

গার্মেন্ট শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মালিক পক্ষ নূন্যতম মজুরির প্রস্তাব করেছে চার হাজার ২৫০ টাকা। এতে মূল মজুরি ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা। বাড়ি ভাড়া ধরা হয়েছে এক হাজার টাকা। চিকিৎসা ভাতা ২৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৩০০ টাকা এবং যাতায়াত ভাতা ২০০ টাকা।

শ্রমিকরা বলছেন, আট হাজার টাকার নিচের মজুরি কাঠামো মানবেন না। শ্রমিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের নূ্যনতম মজুরি সম্পর্কে দুই পক্ষের সমঝোতা না হলে তা দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে সমৃদ্ধ খাত তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের রাজনীতির তপ্ত পরিস্থিতিতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামলে তা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা কম নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি গার্মেন্ট মালিকদের অনুদার ভূমিকা এ শিল্পে অস্থিতিশীলতার হুমকি সৃষ্টি করছে।

শ্রমিকদের তারা যে নূন্যতম মজুরি দিতে চান তা দিয়ে পরিবার-পরিজনসহ খেয়েপরে বেঁচে থাকা দূরের কথা, একজন মানুষের তিনবেলা খাওয়ার জন্যও যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের জন্য ১০০০ টাকা ঘরভাড়া নির্ধারণ আজকের এ সময়ে তামাশা বললেও কম বলা হবে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যখন প্রতিদিনই নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে, এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সম্পদ যখন ক্রমান্বয়ে স্ফীত হচ্ছে, তখন শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রাখা

অমানবিক বৈকি! পৃথিবীর মধ্যে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতনই সবচেয়ে কম। সরকারের কাছ থেকে নানা অজুহাতে চাপ সৃষ্টি করে সুবিধা নিলেও শ্রমিকদের সম্মানজনক মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যে কার্পণ্য বিরাজ করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এ কার্পণ্য শুধু গার্মেন্ট শিল্প নয়, রাষ্ট্রের জন্যও বিপদ সৃষ্টি করছে।

যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.