ফরিদপুর শহরের টেপাখোলায় চাঞ্চল্যকর মীর শামসুল হক মালত ও তার স্ত্রী নারগিস নাহার হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গত রবিবার ভোরে তানভীর রহমান খসরু নামের এক যুবককে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তানভীর রহমান খসরু'র কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার।
ফরিদপুরের ডিবি পুলিশ, তানভীর রহমান খসরুকে তুলে আনেননি বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তানভীরের পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
খসরুর পরিবারের দাবি পুলিশ পরিচয়ে কোন সন্ত্রাসী চক্র তাকে অপহরন করে থাকতে পারে। অপহৃত খসরু জোড়া হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া মীর শামসুল হক মালত ও নারগীস নাহারের ভাতিজা।
নিখোঁজ খসরুর স্ত্রী সেলিনা রহমান জানান, তিনি স্বামী ও এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে শহরের টেপাখোলার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি বাড়ীতে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার স্বামী তানভীর রহমান খসরুর খোঁজ করে। এসময় খসরু বাসা থেকে বের হলে তারা তাকে জোড়া হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে তাদের সাথে ডিবি অফিসে যেতে বলেন।
কিছুক্ষন পর তাকে বাসায় দিয়ে যাবেন বলে জানান। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের কথায় বিশ্বাস করে খসরু একটি মাইক্রোবাসে ওঠলে তাকে শহরের দিকে নিয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর খসরু বাসায় ফোন করে জানান, তাকে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে খসরুর ফোনে সারাদিন ফোন করেও কোন কথা বলা যায়নি। ফোন দুটি বাজলেও কেউ তা রিসিভ করেনি।
এ ব্যাপারে খসরম্নর স্ত্রী সেলিনা রহমান কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, খসরুকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বাড়ী থেকে তুলে আনা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ নামে কাউকে আনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত করে দেখছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।