নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
টিং টাং টুং ..... টিং টাং টুং ... টিং টা ......
( হ্যালো ...... হ্যালো ... হ্যালো ও ও .. এ্যাই শুনছো )
- হ্যা শুনছি বলো !
( কি ব্যাপার মেজাজ খারাপ না কি ? এভাবে কথা বলছো কেন ? )
- আরে রাখো তোমার মেজাজ ! মেজাজের দেখছো কি ?
( কি হল আবার, হুট করে এভাবে ... )
- হুট করে না, কালকে এক্সাম - কি সব বিজিনেস ম্যাথ
( পরীক্ষা বলে কি কেউ এভাবে মেজাজ খারাপ করে ? )
- না মেজাজ খারাপ করবোনা, কি সব ফাংশন, ক্যালকুলাস .. আরো কত্তো হাবিজানি ..
- এইসব গণিত তো আমার লাইফের ফাংশনটাই ওলট পালট করে দিলো !
( একটু ঠান্ডা হও সোনা, )
- আবার তুমি ঠান্ডা হতে বলছো !
- বিশ্বাস করো, যে ছ্যামড়া এই ক্যালকুলাস আবিষ্কার করছে ওরে যদি আজ পাইতাম
- কি সব ছন্নছাড়া সূত্র, লেজ নাই মাথা নাই ..
- জানো ? ফাংশানের এক অংকে চারটা সূত্র লাগে, কি দরকার ছিল বাপু, একটা সূত্র দিলে কি মহাদেশ শুদ্ধ অশুদ্ধ হয়ে যেত না কি ?
( আচ্ছা ঠিকাছে, এবার একটু মাথা ঠান্ডা করো )
- মাথা ঠান্ডা বলছো ? বলি আমার কি আর মাথায় মাথা আছে ?
- ফাংশান না হয় গেল, কিন্তু ক্যালকুলাসের অংক গুলো দেখলেই তো শুধু ক্যাকটাস গাছের কথাই মনে হচ্ছে ..
- কি বিচ্ছিরিরে বাবা, আইআরসি; ইন্সট্যান্টানি নি নি ... দেখো দেখো এখনো উচ্চারনই পারিনে .. আর কাল এক্মাম !
( তুমি এতো অধৈর্য হচ্ছো কেন, আমি সেটাই বুঝছিনে )
- তুমি এখনো বোঝনি আমি কেন অধৈর্য হচ্ছি, ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসের একটা অংক করছিলাম
- মারজিনাল কষ্ট থেকে টোটাল কষ্ট, আর দুই রিজিওনের মাঝের চিপা কতখানি সেটাও মাপতে হবে -
- বলি দুনিয়াতে কি আর এভাবে না মেপে একটু ফিতা দিয়ে মাপলে হতনা, যত্তোসব হতচ্ছাড়ার দল !
( আচ্ছা তুমি এমন করছো কেন ? পরীক্ষা তো পরীক্ষাই ...)
- আমি কেমন করছি, হ্যা হ্যা বলো বলো আমি কেমন করছি ?
- পৃথিবীর সব কঠিন জ্বালা এখন আমার ঘাড়ে, পিঠে, চোখে, মুখে - আর তুমি বলছো আমি কেমন করছি ?
- কি অদ্ভুত মানুষ তো তুমি ?
- আচ্ছা ভাবোতো, কাল পরীক্ষা আর আজ তোমাকে এমন সূত্রের অংক কষতে হচ্ছে যেন মহাকাষের মর্ধাকর্ষন শক্তি ভেদ করতে কয়টা ১.৫ ভোল্টের ব্যাটারী লাগবে সেটাও জানতে হবে
- কিংবা ধরো ব্যাংকে টাকা রাখবা, সেই টাকায় এক লক্ষ বছর পরে কত সুদ আসবে, আর সেই সুদের টাকায় কত পারসেন্ট ট্যাক্স বাদ দিয়ে তোমার থাকবে আর ওই যে টাকা রাখছিলা সেই টাকা যে অন্য ব্যাংক থেকে ধারা নিছিলা সেই ব্যাংককে এই লক্ষ বছর পর কত সুদ দিবা, এই সুদ দিতে যে অন্য ব্যাংক থেকে তোমাকে কত টাকা ধার করা লাগবে .......... থাক আর বললাম না, শুধু জেনে রাখো এইটা অংকের প্রথম পার্ট।
- আর তুমি বলছো আমি কেমন করছি ..
- যাকগে, শুধু এই পরীক্ষাটা যাক, ৭১'এর স্বাধীনতা আমি আরো একবার উদযাপন করবো, কেউ তখন আমাকে বাঁধা দিতে পারবেনা, এই বলে রাখলাম !
- আচ্ছা শোনো, এই এতো কঠিন কঠিন সূত্রের অংক করতে গিয়ে আমি নিজেই একটা সূত্র আবিষ্কার করে ফেলেছি,
- ভেবে দেখলাম, পৃথিবীতে কত শত সূত্র আছে, কিন্তু আমার এই সূত্রটা একদম খাটিঁ, বিশ্বাস করো কোন ভেঁজাল নাই, কোন ফরমালিন নাই -
- কোন রুট ওভার নেই, স্কয়ার, টু দি পাওয়ার ফোর, ফাইভ এইসবের কোন ঝামেলাই নেই, একদম সোজ সমীকরণ -
- এইটা আমাদের দুজনের সূত্র : [ তুমি + আমি = আমাদের ভালবাসাময় জীবন ]
- সূত্রটা কেমন হয়েছে ?
- হ্যালো ...... হ্যালো ... হ্যালো ও ও .. তুমি শুনছো
- আরে ! লাইনটা কেটে দিল কখন ! ! !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।