আর এ কারণে তার বিরুদ্ধে চলা মামলাটিকেও অবৈধ দাবি করেন তিনি।
মুরসির সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৪ জন সদস্যরও বিচার করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে গত বছর ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে সহিংসতা ও বিক্ষোভকারী হত্যা উস্কে দেয়ার অভিযোগ আছে।
মুরসি সোমবার আদালতে নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করায় এবং জেলের পোশাক পরতে রাজি না হওয়ায়, বিচারপ্রক্রিয়া আসছে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মুরসি আদালতে ঢোকার পর পরনের স্যুট বদলে কয়েদির পোশাক পরতে অস্বীকার করেন।
‘এ বিচার অবৈধ,’ বলেন মুরসি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ডক্টর মোহাম্মদ মুরসি। আমি মিশরের বৈধ প্রেসিডেন্ট। একজন প্রেসিডেন্টকে এ আদালতে বিচার করার কোনো অধিকার নেই। ’
এসময় অন্যান্য নেতারাও বিচার তৎপরতাকে ‘অবৈধ’ বলে শ্নোগান দিতে থাকলে আদালতের কাজ স্থগিত ঘোষণা করেন বিচারক।
এরপর মুরসিকে অ্যালেজান্দ্রিয়ার বুর্জ আল আরব জেলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি।
ব্রাদারহুডের নেতাদের বিচার করা নিয়ে আদালতের বাইরে এবং কায়রোজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে।
মিশরে স্বৈরশাসক হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির ইতিহাসে প্রথম অবাধ গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ব্রাদারহুড প্রার্থী মুরসি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার এক বছরের ক্ষমতাকালে মিশরে অনুষ্ঠিত সব পর্যায়ের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল মুসলিম ব্রাদারহুড প্রার্থীরা।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে বছর পার করার আগেই তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার, ব্রাদারহুডের সংকীর্ণ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রের ওপর চাপিয়ে দেয়ার ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে।
তবে সব অভিযোগ মুরসি অস্বীকার করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।