এরা যত বেশী পড়ে, তত বেশী জানে, তত কম মানে। -_-
->উস্তাদ! পার্টি তো ট্যাকা দিয়া গেছে।
::আইছিলো নাকি, কত দিছে রে?
->আধা দিছে উস্তাদ, কইছে কাম শেষ হইলে বাকি অর্ধেক দিব। আরো কইয়া গেছে, হরতালে এমুন ভাবে হাঙ্গামা বাঁধাইতে, যেন মিডিয়া-পাবলিক হগলেই বুঝে যে হরতাল হইতেছে, পার্টির পাওয়ার যেন আন্দাজা করতা ফারে।
::আমাগোরে যদি পুলিশে বাঁশ দেয় তহন?
->দিব না উস্তাদ, কইয়া গেছে যে সব ব্যবস্থা করা আছে, হেগো নিজেগোর লোক থাকবো।
কেউ কিচ্ছু কইবো না- যা মন লয় করতে কিন্তু হরতালের কথা যেন খবরে আসে ভালুমত।
::কিন্তু করতাম কি ভাবতাছি... এক কাম কর লাঠি লইয়া চল মিছিল করুম নে।
->হেইডা তো পুরান হইয়া গেছে বস, এই খবর বিটিবিও দেহাইতো না।
::তয় কি করুম... আইচ্ছা তা পুলিশ রে আমরাই বাম্বু দিমু নে, ইট-পাটকেল মাইরা ২/৪টা মাথা ফাডাইলে খবর অইবো। ফাকে দিয়া ককটেলও মারুম, ব্যবস্থা রাখিস।
->এইডা খবরে আইবো, কিন্তু জমতো না বস। এহন দেহেন, পুলিশ তো আমরার মতনই- হেরা মাইর খাইলে মাইনসের এতটা দরদ লাগবো না। তাছাড়া ইতা দেইখা পাবলিকের গা সইয়া গেছে, ককটেল তো কতই ফুডে, কত পুলিশেরই মাথা ফাডে। পাবলিকের ক্ষতি করতে অইবো।
::কি রে তোর মাথায় তো হেব্বি বুদ্ধি! হ, পাবলিক গাড়ি- অফিস-দোকান ভাংতে হইবো, জ্বালায়া দিবি সুযোগ হইলেই।
আর হুন, আরেককান কতা...
->জ্বে ওস্তাদ?
::মিডিয়াতে গাড়ি পুড়ার ছবি দেইখাও পাবলিকের গা সইয়া গেছে... এহন থিকা, ভিতরে মানুষ বের হওনের লাইগা বইসা থাকিছ না, মানুষ সুদ্ধা আগুন জ্বালায়া দিবি। কেউ কিছু কইতো না, কেউ ধরতো না।
->জ্বে উস্তাদ, পাবলিক তো বেক্কলের লাহান মরবই, কিচ্ছু করতা ফারতো না। ক্ষমতায় হারা জীবন আমরাই আছি, আমরাই তাকবাম, যেই দলই আহুক, আমরার ডর নাই।
উপদেশ/ সতর্কবার্তাঃ
“আমরাই সেই “বেক্কল” জনগণ, নির্বাক আছি বলে বাকশক্তিহীন ভাবার কোন কারণ নেই।
আমাদের ধৈর্য যেমন অসীমের কাছে, সেই ধৈর্যের বাঁধ ভাংলে তার জোয়ারও অসীমের কাছে। এবং যেদিন আমাদের হাতে ত্রিশুল উঠবে, সেদিন নাশ হবে রাষ্ট্রের যত অসুর-মহিষাসুরের। সেদিন দেখবো না কোন আইন, দেখবো না কোন আদালত- এক বিচারক আমি, অত্যাচারের উত্তর তখন কেবল মাত্র সংহার!”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।