আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাটকঃ ব্লগিং নাকি ধূমপান কোনটা বড় নেশা ?

আমার জন্য বেদনারা দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকে; আমি ভেতরে ধুকতেই ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমাকে নিয়ে খেলা করে,আদর করে,চুমু খায়, আর আমি নীরবে কেঁদে উঠি; আজ কোথায় তুমি,ও আমার সুখ গৃহিণী। স্থানঃ ফেসবুক চরিত্রঃ ব্লগার উমুক, ব্লগার আমি, ব্লগার রমণী, ব্লগার জনৈক নারী, ব্লগার কবি, ব্লগার তুমুক, ব্লগার হেতে, ব্লগার আইছে, ব্লগার মেয়ে মানুষ, ব্লগার উনি আবার কিডা। পুরো নাটকটি কাল্পনিক। বাস্তবের কোন চরিত্র এবং ঘটনার সাথে এই নাটকের কেউ কোন প্রকার মিল খুঁজে পেলে আমি কোন ক্রমেই দ্বায়ী নই। ব্লগার উমুকঃ আপনার পোস্ট দেখে আমিও ভয় পেয়েছিলাম।

এত পরিশ্রম করলেন কিভাবে? আপনার স্ট্যামিনা আছে বলতে হয়। তবে দারুণ। ব্লগার আমিঃ ব্লগার উমুক ভাই কিন্তু এখন সত্যি নিজের পোস্ট দিতে সাহস পাচ্ছিনা। ব্লগার রমণীঃ সিগারেট খাওয়া ভালু না । ব্লগার জনৈক নারীঃ আমার প্রিয় তালিকার বেশীর ভাগ স্থান দখল করে আছেন আপনি।

ব্লগার আমিঃ ব্লগার রমণী সিগারেট ছাড়া বেঁচে থাকার আর আছে কি ? ব্লগার উমুকঃ আছে....ব্লগিং ওর চেয়ে ও বড় নেশা। ব্লগার আমিঃ বলেন কি আমিত আপনার কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। ব্লগার কবিঃ ডাংগড় পেম খালি ধারেই টানেনা তফাতেও ঠেইল্যা দেয়। ব্লগার জনৈক নারীঃ ঋণ পরিশোধ করেন এখন। আরেকটি প্রেমের উপাখ্যান চাই।

ব্লগার আমিঃ ব্লগার উমুক কিন্তু ব্লগিং এর ফাকে ফাকে সিগারেট খাইতে হয়। ব্লগার আমিঃ ব্লগার কবি ভাই ঠেইল্যা যেইখানে দেয় আর ফেরত আশা যায় না। ব্লগার আমিঃ ব্লগার জনৈক নারী খাইছে এখন আবার আরেক প্রেম আমি কোথায় পাব ? ব্লগার তুমুকঃ আমি তো ধুমপানের ফাঁকে ফাঁকে ব্লগিং করি। ব্লগার জনৈক নারী, ব্লগার আমি ভাই যদি প্রিয় তালিকার বেশীরভাগ স্থান দখল করে তাহলে আমরা কেন বাদ গেলাম। আইজু মাইন্ড ওয়ান্ট টু নো।

ব্লগার আমিঃ ব্লগার তুমুক ভাইয়া হিংসে করতে নেই এভাবে আমরা আমরাই তো। ব্লগার জনৈক নারীঃ ব্লগার আমি ভাইরে জিগান তিনি ক্যান ভালা পোস্ট দেয়। আইজকেও তার পুস্ট প্রিয়তে রাখতে হৈসে। ব্লগার তুমক আপনের পুস্ট প্রিয়তে নাই তো কি হৈছে আপনি তো আছেন। ব্লগার আমিঃ ব্লগার জনৈক নারী ওহ আচ্ছা আমার পোস্ট প্রিয়তে আর আমি প্রিয়তে না এই খবর আচ্ছা আচ্ছা।

ব্লগার তুমুকঃ থ্যাঙ্কু ব্লগার জনৈক নারী, আমার পুষ্ট প্রিয়তে থাকার দর্কার নাই আমি আপ্নের প্রিয়তে থাকলে হৈল। ব্লগার আমি ভাই, আপ্নের উপর থিকা আমার হিংসিত হওয়া উঠাইয়া নিলাম, অবশ্য এখন চাইলে আপ্নে আমারে হিংসা করতে পারেন। ব্লগার আমিঃ ব্লগার তুমুক নারে ভাই আপনারে হিংসা করলে নিজেরই ক্ষতি। ব্লগার জনৈক নারীঃ আপ্নের মতো ভাইয়াকে প্রিয়তে না রাখলে চলবো? ব্লগার তুমুক। ব্লগার তুমুকঃ সেটাই সিস্টার ব্লগার জনৈক নারী যদি আমাকে প্রিয় ব্রাদারই না ভাবে তাহলে এই দুঃখে আমার বনবাসে যাওয়া উচিত।

কিন্তু এখন মনেহচ্ছে বনবাসে যাওয়ার আর প্রয়োজন নাই। থ্যাঙ্কু এগেইন । ব্লগার হেতেঃ সিকারেট বালু না। ব্লগার আমিঃ ব্লগার হেতে আমি খাব কোন সমস্যা ? ব্লগার হেতেঃ না। কোন সমসসা নাই।

খালি আমারে দিয়া খাইলেই হপে। ব্লগার আইছেঃ বেশি করে খান , সিগারেট খেলে মাথায় বুদ্ধি বাড়ে অ লিখার অনেক কিছু পাওয়া যায়। ব্লগার আমিঃ ব্লগার আইছে ধইন্যা ভাই। ব্লগার আমিঃ ব্লগার হেতে আয় বাবা বুকে আয় সিগারেট খাওয়ামুনে। ব্লগার হেতেঃ আইতাছি।

ব্লগার মেয়ে মানুষঃ হু সিগারেট আপনি খাইলে সমস্যা । অনেকে আপনাকে অনেক কারণে পছন্দ করে, অনুসরন করে । না চাইলেও যখন আপনি অনুসরনীয় তখন উচিত দোষমুক্তির চেষ্টা করা । ব্লগার আমিঃ ব্লগার মেয়ে মানুষ আমি সিগারেট খাই এটা কি খুব দোষের কিছু আমিত কারো ক্ষতি করছিনা শুধু নিজে জ্বলছি প্রতি নিয়ত ছাই হয়ে সিগারেটের সাথে সাথে। আর যদি কেউ আমাকে অনুসরণ করে তবে তার জন্য আমার অন্তর থেকে দোয়া থাকে যেন সে জীবনে সুখি হয়।

ব্লগার হেতেঃ সুখ সে তো সোনার হরিন। ব্লগার মেয়ে মানুষঃ হু দোষের । আপনি দান করেন জেনে কেউ দান করলে ভালো কাজ । কিন্তু যখন আপনি সিগার খান জেনে আর একজন নিজের সিগার খাওয়ার উৎসাহ পাবে তখন অবশ্যই দোষের । ব্লগার মেয়ে মানুষঃ আমাদের সমাজ ব্যবস্থার খুব সুন্দর একটা আদব ছিলো, বড়দের সবাই খুব সম্মান করতাম ।

মনে হয় সকুল অব্দী দেকেহছিলাম মুরব্বিদের সে যেই হোক তার বয়সের জন্যই আলাদা একটা সম্মান পেতেন । বড়দের দেখতেম লুকিয়ে সিগার খেতেন যেন ছোটরা না শিখে । আর ছোটরা তারা সিগার খাইলেও বড়দের আসার আগমনেই নিভায় ফেলতো । শ্যদ্ধাবোধ অসম্ভব সুন্দর একটা জিনিস । এতে করে কিন্তু একটা উপকার হতো বড় ভাই বা বাবার সামনে কেউ সিগার ধরাতো না ফলে সেই সময়টা সে ক্ষতিকর কিছু থেকে দূরে থাকতো ।

আমার মনে হয় আপনি এই 'বড় ভাই ' স্থানটিতে চলে গেছেন । এখন চাইলেও আপনার খারাপ হওয়া চলবে না । ব্লগার আমিঃ ব্লগার মেয়ে মানুষ ধন্যবাদ। আপনার কথার উপর আর কথা থাকতে পারেনা। মান্য করার চেষ্টা করব আপনার এই সুন্দর পরামর্শ।

তবে সিগারেট ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় কারন এর উপরই বেঁচে আছি। ব্লগার তুমুকঃ ব্লগার মেয়ে মানুষ, ঠিক বলেছেন ব্লগার আমি ভাই। এখন থেকে আপনার আর সিগারেট খাওয়া চলবেনা। সিগারেট কিনে পুরোটাই আমাকে দিয়ে দিবেন। ব্লগার আমিঃ ব্লগার তুমুক দোস্ত তুমি আর আমি সিগারেট খাইতে পারি এতে নিশ্চয় আর দোষ হবে না।

ব্লগার তুমুকঃ আমার সাথে শেয়ার করে খেলে অবশ্যই দোষ হবেনা... তবে পুরোটা দিলে আরো ভালো ব্লগার আমি ভাই। ব্লগার আমিঃ ব্লগার তুমুক ওকে। ব্লগার মেয়ে মানুষঃ দুঃখিত আমি জানতাম মানুষ বাচে অক্সিজেনে !!! ব্লগার আমিঃ ব্লগার মেয়ে মানুষ না একদম না আপনার মন্তব্য জীবনের খুব সুন্দর কিছু দিক নির্দেশনা তবে কিছু মানুষ এই যেমন আমি অক্সিজেন আর সিগারেট এই দুইয়ের উপর বেঁচে আছি। ব্লগার তুমুকঃ আসলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাতাসে কার্বনডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য দুষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়ানোর সাথে যাতে খাপ খাওয়াতে পারি তার জন্য আগে থেকেই সিগারেট খেয়ে প্র্যাক্টিস করছি। এটাই আমাদের সিগারেট খাওয়ার একমাত্র কারণ।

প্রতিকূলতার মাঝে কে বেঁচে থাকতে না চায় বলুন; ব্লগার মেয়ে মানুষ। ব্লগার আমিঃ ব্লগার তুমুক বাহ দারুন দোস্ত। ব্লগার মেয়ে মানুষঃ তাহলে আমি বাচতে চাই না ??? ব্লগার তুমুক ভাইয়া !!! ব্লগার তুমুকঃ মনে তো হয়না, ভবিষ্যত বিপদ থেকে বাঁচতে চাইলে আপনিও সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস করতেন!!! ব্লগার মেয়ে মানুষ। ব্লগার মেয়ে মানুষঃ দিনে কয়টা সিগার খান ব্লগার তুমুক ভাইয়া ??? ইয়ে প্রতি পিস সিগার এর দামটা জানাইয়েন । ব্লগার তুমুকঃ দাম জেনে কি হবে! জীবনের চাইতে কি টাকার মূল্য বেশী!! ব্লগার মেয়ে মানুষ ।

ব্লগার মেয়ে মানুষঃ নাহ ! মোটেও না। আপনার জীবনের দাম জানতে চাইছিলাম । আর নিজের জীবনে কতটা বিনিয়োগ করবো তাও বুঝতে চাইতেছিলাম । ব্লগার তুমুকঃ জীবনের অসীম মূল্য। যত বেশী বিনিয়োগ করবেন আর সাথে চর্চা তত বেশী বেঁচে থাকার সম্ভাব্যতা বাড়বে!! এখন দিনে একটা সিগারেট বিনিয়োগ করবেন নাকি বিশটা সেটা আপনার উপর নির্ভর করে; ব্লগার মেয়ে মানুষ।

ব্লগার মেয়ে মানুষঃ আইচ্ছা । আমি ঠিক জানিনা !!! তবে এক শলা সিগার মনে হয় ৮ টাকা ! দিনে যদি আমার ১০টা লাগে ৮০ টাকা । ৩০ দিনে ৩০*৮০=২৪০০ টাকা মাসে । সিগার আমায় অভ্যস্ত করিলেও বাতাসের কি পরিমান ক্ষতি করিবো আল্লাহ জানেন । একটা টব ২০ টাকা আর একটা গাছ ৪০-৬০ টাকা ।

দৈনিক একটা গাছ ১০০ টাকা খরচ করে কিনলেও মাসে ২৪টা গাছ । ২৪ টা নতুন প্রানের যাত্রা আমার হাত দিয়ে । ব্লগার মেয়ে মানুষঃ আমি জানি যারা সিগার খায় তারা ইচ্ছা না করিলে কিছুতেই কিছু নয় । তাও সিগার খাইতে মানা করতে ভালা লাগে । ভালা লাগে এই ভেবে যে কারো ভালো চাওয়ার ক্ষমতা এখনো আছে ।

সরি ভাইয়ারা । ব্লগার তুমুকঃ আপনি ভুল বুঝেছেন। সিগারেটে খারাপ কিছু নাই। অবশ্য যারা সিগারেট না খেয়েছে তাদের বোঝানো সম্ভব না। অন্তত ২/৩ মাস খেয়েই এর উপকারীতা অনুভব করা যায় নইলে না।

যারা সিগারেটের বিরোধীতা করে অধিকাংশই তারা জীবনে সিগারেট খায়নি বা ২/১বা খেয়ে ধাক্কাটা সহ্য করতে পারেনি বলে আঙ্গুর ফল টক হয়ে গেছে। ব্লগার মেয়ে মানুষঃ আমি খাইছিলাম। ধাক্কা সামলাইছি। তখন মনে হয় দাম ছিল ৫ টাকা করে। কিন্তু ৫ টাকা দিয়ে সিগার খাওয়া থেকে ৫*৭=৩৫ টাকা দিয়ে ''তিন গোয়েন্দা'' কিনা বিরাট মনে হইছে ক্লাস ৭ এর মেয়ে মানুষের কাছে।

এখনো আমি আইসক্রিম বা চকোলেট খাইতে গেলে ভাবি!!! এই টাকা দিয়া বই বা গাছ কিনা যায় কিনা ??? এখন অবশ্য নেটে বসে থাকার নেশা হইছে। যাই হোক সিগার যে ক্ষতি তা নতুন করে বোঝানর কিছু নাই। আর আমি জানি ক্ষতির নেশা বোলেই এই নেশা এত প্রিয় !!! ব্লগার তুমুকঃ নাহ... টানা ২/৩ মাস না খেলে হবেনা তো! কিছুই বুঝবেন না। ২ থেকে ৩ মাস প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ টা করে সিগারেট খান তারপর আপনিই বলবেন যে সিগারেট গুড, লাভ স্মোকিং। গ্যারান্টি দিলাম।

ব্লগার মেয়ে মানুষঃ নিজে ছাড়তে চাইবো না হয়তো তবে খারাপকে খারাপ বলবই । ব্লগার উনি আবার কিডাঃ আপনার হয়ে একটি কবিতা। লেখা মোর পেশা নহে,নহে ইহা মেকী, অন্তরে যা ঢালেন প্রিয়,হস্তে তাহা লিখি। সকল কে তোমার কথাটা জানিয়ে দাও। মোরালঃ ধূমপান জীবনের জন্য ক্ষতিকারক।

আসুন ধূমপান ত্যাগ করে ব্লগিং এর নেশায় মত্য হয়ে উন্মুক্ত চেতনার অধিকারী হয়ে উঠি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবন গড়ি। বিবেচনাঃ প্রাণ দিতে না পারি কিছু প্রাণ জাগাতে সাহায্য করি ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।