ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের তিনটি এলাকার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন। ভাঙচুর করেন কমপক্ষে ১০টি কারখানায়। পরে তাঁরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করেন। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক কারখানা গতকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়।
একাধিক শ্রমিক জানান, সরকারের কাছে তাঁদের দাবি ছিল ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা। কিন্তু মজুরি বোর্ড তা না মেনে গত সোমবার ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। মালিকেরা আট হাজার টাকা তো করেনইনি, পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার প্রস্তাবও মানেননি। এর প্রতিবাদে ও ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার দাবিতে গতকাল সকাল নয়টার দিকে কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলের তুসুকা গার্মেন্ট, এনটিকেসি, ডেল ফ্যাশন, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, জরুনের ইসলাম গ্রুপ, কেয়া গ্রুপসহ ১০ থেকে ১৫টি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন।
ওই সময় কোনাবাড়ীর আসিফ অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকদের বের হতে না দিলে বহিরাগত ৩০-৪০ জন শ্রমিক কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন। পরে কারখানার ভেতর ঢুকে কম্পিউটার, অফিসের গ্লাস, মেশিনসহ ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করেন। পরে শত শত শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেমে অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুর শুরু করেন। তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।
পরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
একপর্যায়ে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল নয়টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে এ সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
অপরদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটির পলমল গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা সকালে কাজ বন্ধ করে বের হয়ে আসেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ওই এলাকার বিডি হেচং লিমিটেড, সাউদার্ন নিটওয়্যার, নাফা টেক্সটাইল ও পিপিএফএল লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জয়দেবপুর থানাধীন চক্রবর্তী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুরের ডিবিএল গ্রুপ, মণ্ডল গ্রুপ, ডেল্টা গ্রুপসহ ১৫টির মতো পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ ওই সব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।