আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কৌতূহল বটে

জঞ্জাল যত আটকে থাকুক হৃদয়ের মাঝখানে, কিছু সুর ফেরাতে পারে সম্ভাবনার তানে, তাই সঙ্কুচিত কোরোনা হে অফুরন্ত ডালা, প্রাণে খুশির ঢেউ জাগিয়ে সাজাও নতুন পালা

‘সত্যি করে বল, কি কি চুরি করছিস?’ ‘কিছুই না’ ‘তাইলে রুমে ঢুকছিস ক্যান?’ ‘এমনিতে’ ‘এমনিতে মানে?’ বলতে না বলতেই আরেকটি ঘুষি বসিয়ে দেয় ছেলেটার পিঠে। ইতিমধ্যে অনেকে জড়ো হয়েছে। সবাই মারার জন্য উন্মুক। হইচইয়ের ভেতর হঠাৎ ভারী কণ্ঠের জোরালো আহ্বান অন্য স্বরগুলোকে ম্লান করে দিলো- ‘চেক করে দেখছ, ওরে?’ ‘জী, ভাই’ ‘পাইছো কিছু’ ‘না ভাই’ ‘ধরলা ক্যামনে?’ ‘ক্লাস থিকা ফিরা হলের টঙে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। তারপর একটু আগে রুমে ঢুইকা দেখি শালা শুইয়া আছে আর খোলা তালায় চাবি ঝুলতাছে’ ‘কিছু নেয় নাই, আবার শুইয়া ছিলো, কাহিনীতো দেখতাছি প্যাঁচ খাওয়া।

যাই হউক আর মারপিটের দরকার নাই। তাছাড়া পোলার চেহারা দেইখা আর যাই হউক চোর মনে হয়না। ক্যাম্পাসের না বাইরের? আমাদের হলের?’ ‘হ্যাঁ ভাই, কইলতো ক্যাম্পাসেরই, সোশ্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির, হলে নাকি থাকেনা। কিন্তু আমার বিশ্বাস হয় না। ’ ‘এক কাজ কর, রিকশায় করে মেডিক্যাল পাঠায়া দাও।

প্রোক্টররে ফোন দেয়ার দরকার নাই। ’ ‘ভাই, ছাইড়া দিমু, কি কন?’ ‘হ, মাইর তো অনেক দিয়াই ফেলছো, মানসিক অসুস্থ কিনা কে জানে। আর তোমরাও যে ক্যান দরজার চিপায় চাবি রাইখা যাও?’ ‘ঠিক আছে, ভাই’ কিছুক্ষণ পর ... রিকশায় গা হেলিয়ে কোনমতে বসতে পারলেও ব্যাথায় মুখ বেঁকে গেছে ছেলেটার। ভারী কণ্ঠের সেই ভাই কাছে দাঁড়িয়ে ছেলেটার কানে মুখ ঠেকিয়ে বললেন- ‘যাবার আগে আমাকে সত্যি কথাটা কি বলবা, ক্যান রুমে ঢুকছিলা?’ ‘স্রেফ কৌতূহল ছিলো ভাইয়া, আর কিছুনা’ ব্যাথায় জর্জরিত কণ্ঠে বলল সে। রিকশা চলে যাচ্ছে।

ভারী কণ্ঠের বড় ভাইটি রহস্যময় দৃষ্টিতে রিকশা দৃষ্টির আড়াল হবার আগ পর্যন্ত তাকিয়ে রইলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.