সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে যে পরিবর্তন এনেছে, ‘তীব্রতম ভাষায়’ তার নিন্দা জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ধ্বংস অবধারিত হয়েছে। তিনি এই ‘ধ্বংস’ ঠেকাতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার ইউনূস সেন্টারের এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই নিন্দা জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আর্থিক হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে গ্রামীণ ব্যাংক বিল ২০১৩ গতকাল মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়েছে।
বিলে অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গরিব মহিলাদের মালিকানায় এবং তাঁদের ব্যবস্থাপনায় একটা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি হয়েছিল। এই আইনে গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এই কারণেই গ্রামীণ ব্যাংক জাতিকে আন্তর্জাতিক সম্মানের সুউচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পেরেছিল। এখন সরকার এই আইন পরিবর্তন করে তাতে এমন সব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, যাতে সরকার এই ব্যাংককে এক শ ভাগ নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিতে পারে।
আইনের এই সংশোধনের কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের চরিত্রে একটা মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসা হলো। এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ধ্বংস অবধারিত হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে কিছু অপরিণামদর্শী মানুষের বিবেচনাহীনতার কারণে জাতির একটা পরম গৌরবের প্রতিষ্ঠানকে এই পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটি জাতিকে প্রত্যক্ষ করতে হলো। জাতি হিসেবে এখন আমাদের দৃঢ়সংকল্প নিতে হবে, যাতে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো অনিষ্ট হওয়ার আগেই দ্রুততম সময়ে এই আইনের পরিবর্তনগুলো বর্জন করে ফেলতে পারি। দেশের সব মানুষ, গ্রামীণ ব্যাংকের সব ঋণগ্রহীতা-মালিক, তাঁদের পরিবারের সদস্যবর্গ, ব্যাংকের সব কর্মচারী-কর্মকর্তা এ লক্ষ্যে একযোগে এগিয়ে আসবেন—এই কামনা করছি।
’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।