মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, তুরিন আফরোজ ও মোহাম্মদ আলী। ন্যায়বিচারের জন্য যুক্তিতর্কে নিজামীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে প্রসিকিউশন। আজ আসামি পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। শুনানিতে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ১৯৭১ সালের কৃত অপরাধের জন্য পরবর্তী সময়ে নিজামীকে অনুশোচনা করতে দেখা যায়।
তিনি আসলে জেনেবুঝেই মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরাধ করেন। এই প্রসিকিউটর বলেন, একাত্তর আসলে একটি বড় সত্যের নাম। সেই সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে আজ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক কারণে এ বিচার হচ্ছে না। প্রসিকিউটর তুরিন বলেন, নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি হিসেবে নিজামী একাত্তরে তরুণ সমাজকে স্বজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উসকানি দিয়েছেন।
ধর্মের কথা বলে তরুণদের বিশাল একটি অংশকে বিভ্রান্ত করেছেন। একজন তরুণ হিসেবে তিনি নিজেও ভুলের ওপর দাঁড়িয়ে ভুলের ইমারত গড়েছেন। নিজামী আসলে একাত্তরে সব অপরাধের 'রিং লিডার' হিসেবে কাজ করেছেন। আমরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। প্রসিকিউশন তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি চায়।
প্রসিকিউটর তুরিন আরও বলেন, একাত্তরে নিজামী ছাত্রসংঘের প্রধান ছিলেন। প্রধান হিসেবে একটি সংগঠন পরিচালনা করেছেন। তাই ইনডিভিজুয়াল ক্রিমিনাল রেসপনসিবিলিটি (ব্যক্তিগত অপরাধের দায়), জয়েন্ট ক্রিমিনাল রেসপনসিবিলিটি (যৌথ অপরাধের দায়) ও সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) এ তিন অভিযোগে নিজামীকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়। তিনি নিজে কোনো অপরাধ সংঘটন না করতে পরেন। তবে তার বাহিনীর কোনো সদস্যের অপরাধের দায়ভার তাকে নিতে হবে।
সুতরাং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তিনি অপরাধী হয়ে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।