আবহাওয়াবিদ রোমিও কাজুলিস জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে হাইয়ান সামার প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টির গতি-প্রকৃতি সর্ম্পকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যে এটিকে ভূখণ্ডে আঘাত হানা সর্বকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলীয় সামার প্রদেশের গুইউয়ান শহর থেকে ৬২ কিলোমিটর দক্ষিণ-পূর্বে ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
যে পথে ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগ অতিক্রম করার কথা সেই পথ বরাবর সব স্কুল ও দপ্তর বন্ধ রাখা হয়েছে। মারাত্মক ক্ষতির ভয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অক্টোবরে এই এলাকাটি ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে অঞ্চলটি।
শুক্রবার ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের গভর্নর রজার মারক্যাডো তার ট্যুইটার একাউন্টে জানিয়েছেন, প্রবল বাতাসের তোড়ে ভেঙে পড়া গাছপালায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে, এতে ত্রাণ কার্যক্রমের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘূর্ণিঝড়টি এই এলাকার উত্তরে অবস্থিত রাজধানী ম্যানিলায় সরাসরি আঘাত হানবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেবু প্রদেশের ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের মাই জামোরা জানিয়েছেন, প্রবল বাতাস শিস দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এবং একটানা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “ট্যাকলোবান শহরে থাকা আমাদের সহকর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, সেখানে টিনের চালগুলো ঘুড়ির মতো উড়ছে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।