দেখতে খুব সুন্দর, লম্বা। কিন্তু পেটে বিশাল বড় ভুঁড়ি। শুধু এই ভুড়ির জন্য আর স্মার্ট দেখা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষদের খাদ্যাভ্যাসের কারনে এ সমস্যা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে একজিনিস ভাবলে ভুল করবেন।
পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। শরীরে এ অংশের মেদের কারণে ডায়োবেটিক থেকে শুরু করে হার্টের মারাত্মক সমস্যা পযন্ত হতে পারে। দেখতেতো খুবই বিশ্রী লাগেই।
তাহলে কি করবেন?
------------------
শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়না। খাবার দাবারেও সতর্ক থাকতে হবে।
খাবার সতর্কতা এবং শরীরের বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম আপনার পেটের চর্বিকে কমিয়ে দিবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের চর্বি জমা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে।
খাবারে সতর্কতা
------------------
১. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন।
২. শরবতটি খাওয়ার পর দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভাল ফল পাবেন। তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমানোর প্রক্রিয়িাটি দ্বিগুন গতিতে হবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
৩. সকালের নাশতাতে অন্য খাবারের কম খেয়ে একবাটি করে ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪. পানি শরিরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর সব কিছু শরীর থেকে বের করে দেয়। সেজন্য সকল ডাক্তারদের পরামর্শ বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
৫. ভাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আটার তৈরি খাবার বেশি খেলে অনেক উপকার পাবেন।
৬. খাবার রান্না করার সময় দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করুন।
এগুলো শরীরের রক্তে শর্করার
মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
৭. চিনি জাতীয় খাবার শরীরে বিশেষ করে পেট ও উরুতে চর্বি জমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুতরাং চর্বি থেকে বাচতে হলে এ জাতীয় খাবারের লোভ সংবরণ করতে হবে।
৮. প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি, আমড়া, চালতা খেতে হবে।
৯. চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এবং সফট ড্রিংকস (কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি) খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে।
একদমই না খেলে আরও ভাল হয়।
আগামী কাল ভুড়ি কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়ামগুলো নিয়ে পোস্ট করব।
পুরো পোস্টটি নেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক পেজ থেকে।
পেজটির নামঃ facebook.com/dr.foyzunnahar
চাইলে যেকেউ এ পেজে লাইক দিতে পারেন। ডাঃ নাহার নামে একজন এখানে উত্তর দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।