এখানে নীল জল টলমল করে,এখানে নীলের ছায়া পড়ে
অভাবে পরলে মানুষ কি না খায়। কচু ঘেচু,লতা পাতা। পরিবেশবাদীরা চিৎকার চেচামেচী করলেও কুনো লাভ নাইককা। পেট শান্তি তো দুইন্না শান্তি। কোন কোন দ্্রব্য খাওয়ন হইয়া উঠে কত উবকার করে।
মাঝে মইধ্যে ঐ হগল খাওন কোন কারন বসতঃ একটু নামী দামী খাইয়া সোয়াদ পায় তো ঐ খাওন তো জাতে উইঠা যায়, লগে লগে গরীবের ও ঐটা খাওয়ার কিসমত শেষ হইয়া যায়।
তো আমার দাদীজান যহন পরথম গরুর ভুরি নিজে দায়িত্বে পরিস্কার কইরা রান্দনের পেলান করছিল,ত হন বাড়ি শুদ্ধা লোকজন গালি দিছিল, কোরবানীর পর গরীবরা ঐটা নিয়া যায়, পরিস্কার কইরা রান্দে, খায়,তুমি এহন এইঠা লইবা। হেই গরীব মানুষ গুলান যদি জানত তারা নিজেগো এই খেতি করবার যাইটাছে, তাইলে কি আর ঐ রান্দা ভুড়ি দাদীরে খাইতে দিত। এহন আলাদা গোসত দিয়া হইলে ও ভুরি দেয় না। আমরা খাইয়া ও পুরা টাল......এহন তো বাজার থন ভুড়ি কিনণা আইনা খায়।
এই দেশে এসে ও খুব মিস করতাম সেই ভুড়ি ভাজা। এক বন্ধুর বাসায় খেতে গিয়া দেখি স্যুপের মধ্যে সাদা কি যেন,তাকে জিগ্যেস করতে ইংরেজী নাম বলল। আমি তো আবার ইংরেজীতে খুব ভালো,তাই কিছুই বুঝলাম না। জিনিস টা কি হতে পারে। আমার সেেন্দহ হলো গরূর ভুড়ি বলে ই।
আল্লার নাম নিয়ে দিলাম মুখে,এখন ই বুঝা যাবে এটা কি,বাঙাল কে খাবার চিনায়!!!! মুখে পড়লে সব বলে দিতে পারে বাঙাল।
হমম অনুমান সঠিক,শালার এইটা তো আমাগো দেশের গরুর ভুড়ি ই। আয় হায় এতো দিন কই আছিল, আমার চোউখ্যে কেন পড়ল না। পোয়া আফছোস। ইংলিশ নাম টা আবার জিগাইলাম, কইলো beef tripe।
ঐদিন গিয়া ছোট এক পেকেট কিনা আনলাম, গোসতের মসলা দিয়া রানলাম, তার পর কসা হইয়া যওনের পর বেশী কইরা পানি দিয়া সিদ্ধ করলাম,এইবার পানি শুকাইয়া যাওনের পর ভাজা ভাজা কইরা ফালাইলাম।
আহারে কি সুবাস, কতো দিন পর। গরম ভাত দিয়া মজা কইরা খাইলাম।
আইজকা আবার বড় একপেকেট আইনা ভিজাইলাম,আইজ রাইতে ও হবে ভুড়ি ভাজি দিয়া ভুড়ি বিলাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।