দুঃখ সুখ, অহম খেলা খেলছে মানুষ, যখন তখন, বাঊন্ডুলে, ভাবনা গুলোয় বিভোর আমার, আপন ভুবন।
ভাই, পথটা কি হাসপাতালের দিকে গেছে? রাস্তায় দাঁড়ানো এক ব্যাক্তিকে অন্য ব্যাক্তির সরল প্রশ্ন। কিন্তু তিনি প্রশ্নটার জবাব দিলেন গরল করে। তার উল্টো প্রশ্ন ‘পথটার কী ডায়রিয়া বা এইডস হইছে নাকি যে হাসপাতালের দিকে যাবে? পথ সর্বত্রই যেতে পারে। সংসদ থেকে পতিতালয়-শশ্বান থেকে আঁতুড় ঘর, রাজপ্রাসাদ থেকে রাজপথ, আবার সাধারন ভবন থেকে রাষ্ট্রভবন- পথ সর্বত্রই যেতে পারে।
কিন্তু গত প্রায় একটা বছর দেশের সব পথই থমথমে হয়ে আছে এক অজানা আশংকাতে, যেমনটি ছিল পাঁচ বছর আগেও। বিরোধী দলের হরতাল কর্মসূচি আর পুলিশের দমননীতির চিপায় পড়ে সাধারন পাবলিকের মরনদশা। অনেকেই বের হয়ে কোথাও যেতে পারেননি, আবার অনেকে আটকে গেছেন মাঝপথে। আর বর্তমানে চলা জেএসসি এবং জেডিসি পরিক্ষার্থীদের কথা আর কি বলবো। তাদের কারো পাঁচ এবং কারো আট বছরের সাধনায় যে আগুন জালিয়ে যাচ্ছেন রাজনিতিবিদরা সেটা কোন ভাষায়ই ব্যাখা করা সাধ্যাতিত।
।
কিন্তু বিরোধী দল অথবা সরকারী দল কেউই জনতার ভোগান্তির কথা ভাবেননি। আর নেতাদের তো এ নিয়ে ভাবার সময় নেই! মূর্খদের ভাবনা শুধু পকেট গোছানোর। এক মন্ত্রি গেছেন জাপান সফরে। জাপান সফরে যাবার পর তিনি গেছেন এক স্বয়ংক্রিয় গাড়ী তৈরির কারখানায়।
সেখানে গিয়ে তো তিনি তাজ্জব বনে গেলেন। হাতে তেমন কোন কাজ হয় না বললেই চলে, প্রায় সব কাজই হয় মেশিন-দ্বারা। সেই কারখানা পরিদর্শন শেষে লিফটে করে সবাই নিচে নামছিল। হঠাৎ এক ভদ্র মহিলা বিরক্তির সঙ্গে “ক্যাগ” করে উঠল। মন্ত্রি সাহেব তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মহিলার ক্যাগ করে উঠার কারন জানতে চাইলেন, কর্মকর্তা পাশের আরেক লোককে দেখিয়ে জানালেন, লোকটি নাকি মহিলাটিকে গুতো মেরেছেন।
এ কথা শুনার পর মন্ত্রি সাহেব গদগদ করে বলে উঠলেন, যাক এখানে কিছু কাজ তাহলে হাতেও করা হয়। এই হচ্ছে আমাদের নেতাদের অবস্থা। তারা সোজা রাস্তাটা চেনেন কম। জনগনের পশ্চাৎ দেশে বাঁশ দেয়ার জন্য তারা সব সময় বাঁকা রাস্তাটাই বেছে নেন।
যাই হোক শেষ আরেকটা গল্প হয়ে যাক, সাথে ফ্রি হিসেবে ছোট আরেকটা দিয়ে দিব, কারন এখন সবকিছুর সাথে ফ্রি দেবার প্রথা জোরালো ভাবে প্রচলিত।
বাজে কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দেই, এক নেতা তার চাল্লিকে বলছেন, ‘ভাবছি আগামী মাস থেকে যৌতক বিরোধী আন্দোলনে পথে নামব’। তখন তার চাল্লি (খাঁটি বাংলায় চ্যালা) বলল, এই মাসেই কেন নয় হুজুর? নেতা সাথে সাথে বললেন, ধুর বোকা, এই মাসে আমার ছেলের বিয়ে, আর আগামী মাসে মেয়ের। পথ যত বন্ধুরই হোক, পথে হাঁটতে নেতাদের কোন-রুপ অসুবিধা হয় না। এক প্রেমিক জুটি সারারাত ঘুরেফিরে সকালে মেয়ের বাসায় ফিরে এসেছে। মেয়ের বাবা সারারাত ঘুরে সকালে ফিরে আসার কারন জানতে চাইলেন।
তখন ভীরু প্রেমিক বলল, জ্বি-সাতটায় আমাকে অফিস যেতে হবে কিনা। আমাদের রাজনৈতিক নেতারাও ক্ষমতায় যাবার পর জনতাকে পথে নামিয়ে নিজেকে উপরে টেনে তোলে সেটা বিরোধী নেতাই হোক আর সরকার দলিও নেতাই হোক। কিন্তু শেষ দিকে আবার পথে ফিরে আসেন, কারন তখন যে আবার ভোট চাইতে হয়। অন্যদিকে ক্ষমতায় যাবার পরঃ মাকসুদের সেই গানের মতন “গনতন্ত্রকে গন-ধর্ষন করে চলেন”, হরতালের নামে, দমন নীপিড়ন নীতিতে আর আমরা সাধারন জনগন তাদের রাজনৈতির বুলডোজারের পিশনে পিষ্ট হয়েও আবারো তাদেরই সুযোগ করে দেই, কারনটা হয়ত তেমন পরিস্কার নয়, তবুও মনে হয় আমাদের কাছে আর কোন দরজা হয়ত খোলা নেই। নাকি আছে? থাকলে মতামত দিয়ে জানাতে পারেন।
আছে, এই আশাবাদ ব্যাক্ত করে আজকের মত বিদায়, হয়ত ফিরবো আগামিতে অন্য কোন রম্য নিয়ে, যদি সাহস পাই। ।
বিঃ দ্রঃ ইহা একটি রম্য রচনা, কারো জীবনের সাথে মিল খাইলে আমি পাগল দায়ী নই। আর জানেন তো পাগলে কিনা বলে। সবাই ভাল থাকুন, শুভ কামনা রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।