এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই...
মানিব্যাগকথন
মানিব্যাগ নিয়ে যে ফ্যান্টাসীতে ভুগতাম সেটা হচ্ছে মানিব্যাগের মধ্যে প্রেমিকার ছবি রাখতে। বিভিন্ন চেস্টা প্রচেষ্টা অপচেষ্টার পরও সেটা রাখা সম্ভব হয়নি। তারপর একসময় এই তত্বের বিরূদ্ধে চলে গেলাম। তারপর শুরু হলো পিক তত্ব। গীটার শেখা শুরু করলাম।
মানিব্যাগে গীটারের পিক রাখা শুরু করলাম। মনে হতো মানিব্যাগে প্রেমিকার ছবি রাখাটা কোন কাজের কথা হতে পারে না। বরং পিক রাখাটা পুরুষত্বের লক্ষন। প্রথম মিথটি হলো আমার মানিব্যাগে তিন দিনের বেশী কোন পিক থাকে না। হারিয়ে ফেলি।
আমার মানিব্যাগে প্রচুর কাগজপত্র থাকে। যেমন এই মুহূর্তে আছে কবিতা, লিরিক, কয়েকটা মানিরিসিট, ঢাকায় গাছ লাগানোর উপর একটি মহাপরিকল্পনা, সাইকেল কোথায় কিনতে পাওয়া যায় এরকম একটি ফিচার, বেশ কিছূ ভিজিটিং কার্ড, এটিএম কার্ড, মেমোরী কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র। দ্বিতীয় মিথটি হলো হঠাৎ হঠাৎ টাকা পাওয়া যায়। গত পরশুও ৫০০ টাকা পেয়েছি অথচ এর কোন হিসেব আমার মাথায় ছিলো না। মজার ব্যাপার হলো এই টাকা পাওয়া যায় অতি অতি সংকটকালীন মুহূর্তে।
একবার একটা জরুরী মুহুর্তে গান বানাতে হবে একটা। স্টুডিওর এক শিফট এক হাজার টাকা। আমি পাঁচশো প্রিন্স পাঁচশো। আমার কাছে দেখি মাত্র সাতাশ টাকা। কিন্ত মানিব্যাগ ঘাটতে গিয়ে সেবারও পাঁচশো টাকা পেয়েছিলাম।
গানটির নাম শাদা মলাট। একসাথে আরো তিনটি গানও তখন রেকর্ড করা হয়।
এই টাকার পাবার ব্যাখাটি আমার কাছে জলের মতো পরিস্কার। কোন কিছু পরিস্কার হয়ে যাবার পর একে মিথ মনে করাটা ঠিক কিনা কে জানে? এত জানাজানি দিয়ে কী হবে।
শাদা মলাট একটি সিনেমার গান: কেউ আগ্রহী হলে এখান থেকে দেখতে পারেন।
পুনশ্চ: ব্যক্তিগত মেঘের ভিতর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে শিরোনামে ধারাবাহিক কিছু পোস্ট দেয়া হবে যা অতি ব্যক্তিগত, রহস্যময় ও কিছুটা মিথ জড়িত। ধন্যবাদ।
প্রথম পর্ব : নীল চাদর রহস্য
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।