বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সন্দেহজনক ঋণের পরিমাণ বেড়ে এখন ৭ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। কেবল তিন মাসেই বেড়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। বছর শেষে তা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ব্যাংকঋণ ব্যবস্থায় চরম নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক উপাদানগুলোর প্রভাব বাড়লেই বাণিজ্যিক ব্যাংকে সন্দেহজনক ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে ঋণ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ফলে ব্যাংকগুলো চাওয়া মাত্র অর্থের জোগান দিতে অসমর্থ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। কেস টু কেস স্টাডি করতে হবে। অন্যথায় ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা খারাপের দিকে চলে যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তিন মাস অতিক্রান্ত হলে সেটি নিম্নমানে শ্রেণীকৃত (খেলাপি) হবে; নিম্নমানে শ্রেণীকৃত হওয়ার ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর তা সন্দেহজনক পর্যায়ে শ্রেণীকৃত হবে; আর সন্দেহজনক পর্যায়ে শ্রেণীকৃত হওয়ার ৯ মাস পার হলে তা মন্দ ঋণে পরিণত হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৫৬ হাজার ৭২০ কোটি ১০ লাখ টাকা খেলাপি ঋণের ভেতরে ৭ হাজার ১৪৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকাই সন্দেহজনক ঋণ। জুন শেষে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে সন্দেহজনক ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহজনক ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে খেলাপি ঋণের ব্যাপারে আগাম সতর্কতা।
এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে সাবধান না হয়ে উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একাধিকবার সতর্ক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর পরিচালনায় কিছু সমস্যা বা পদ্ধতিগত অব্যবস্থাপনার জন্য তা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। এ কারণেই সন্দেহজনক ঋণের হার বাড়ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।