সময় খুব কম, যত পারেন ভালো কাজ করুন
২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক তথা সোলালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংককে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত করা হয়। ২০০৮ সালের পর থেকে বিপুল সংখ্যক তরুণ কর্মকর্তাকে এই চারটি ব্যাংকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখাগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রকার সেবামূলক কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, অতিদরিদ্র ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ইত্যাদি বিভিন্ন সেবামূলক কাজগুলো রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেই দেয়া হয়। আর এই সেবাগুলো দিতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন ব্যাংকের তরুণ কর্মকর্তাগণ।
এর পাশাপাশি ব্যাংকের বাণিজ্যিক কার্যক্রমতো আছেই। এছাড়াও রয়েছে কৃষকের নামে দশ টাকার হিসাব খোলা ও তা পরিচালনা করা। কৃষি লোন সংক্রান্ত কার্যকলাপও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেশাজিবী- যেমন জুতার কারিগর, পোশাক শ্রমিক এদের জন্যও দশ টাকার অলাভজনক একাউন্ট খোলা হয় ও পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন সরকারী উন্নয়ন মূলক কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদিগের মজুরি ব্যবস্থাপনাও রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের তরুণ কর্মকর্তাদেরকে সম্পন্ন করতে হয়।
এছাড়া আরও রয়েছে বিভিন্ন সরকারী অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতন প্রদান।
বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক গুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলের শাখা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাথে সাথে প্রদান করা হয়- যার সম্পূর্ণ দায়িত্বটুকুই তরুণ এইসব কর্মকর্তার উপরে ন্যাস্ত। এই তরুণ কর্মকর্তাদের সহায়তার মাধ্যমেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলো লোকসানী ব্যাংক থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। এইসব তরুণ কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংককে প্রযুক্তিগতভাবে আধুনিকায়ন করাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই তরুণ কর্মকর্তাদের অবদানেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের শাখাগুলো দ্রূত গতিতে অনলাইন শাখায় রূপান্তির হচ্ছে।
সকাল ১০ টা থেকে শুরু করা সন্ধ্যা ৬ টার পরেও প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা এদের কাজ করতে হয়। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে ব্যাংকগুলো নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ঈদের আগে, হরতালের ক্ষতি পোষাতে, সকল ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখাসহ পোর্ট এলাকার শাখাগুলো বন্ধের দিনও খোলা রাখা হয়। অথচ সবক্ষেত্রে অবহেলিত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো- যারা একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
যদিও এর বিনিময়ে তারা বেতন পাচ্ছেন।
কিন্তু তাদেরকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে অনেক অর্থনৈতিক সুবিধা থেকে যা অনেকেরই অজানা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক অর্থাৎ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক যখন লোকসানের ভারে ডুবতে বসেছিল তখন এই ব্যাংকগুলোকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত করা হয় ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। শতভাগ রাষ্ট্রমালিকাধীন এই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী তথা ব্যাংককে সংকটময় অবস্থান থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে নিয়োগ দেয়া হয় প্রচুর সংখ্যক তরণ কর্মকর্তাকে। আর সেই সাথে ব্যাংকের অভ্যন্তরে আনা হয় অনেক পরিবর্তন। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হবার পরে যে সকল কর্মকর্তারা ব্যাংকে নিয়োগ পান তাদেরকে পেনশন সুবিধার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ তারা রিটায়ার করার পরে অন্যান্য সরকারি চাকুরিজিবীদের মত পেনশন সুবিধা পাবেন না। ফলে, তাদের ভবিষ্যত জীবনের অবলম্বনের রাস্তা রুদ্ধ করে ফেলা হয়। বিনিময়ে তাদের জন্য প্রচলন করা হয় গ্রাচুইটি নামক ব্যবস্থা যা অন্যান্য বেসরকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত। এতে করে দেখা যায় রিটায়ার করার পরে একজন কর্মকর্তা যে আর্থিক সুবিধা পাবেন তা একজন সরকারী কর্মকর্তার তুলোনায় অনেক গুণ কম। শর্ত ছিল, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরিত হবার পরে এই সকল কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করা হবে।
ফলে তরুণ ব্যাংকারগণ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। কিন্তু এখনও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের অনীহা ও প্রহসনমূলক আচরনের কারণে যা এখনও কার্যকর করা হয়নি। একজন জিপিএফ (জেনারেল প্রোভিডেন্ট ফান্ড) এর আওতাধীন কর্মকর্তা ও একজন সিপিএফ ( কন্ট্রিবিউটরি প্রোভিডেন্ট ফান্ড) এর আওতাধীন কর্মকর্তার মাঝে যে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় তা নিচে সবিস্তারে বিবৃত হলোঃ
১। একজন জিপিএফ ভোগী মূল বেতনের ১০ -৩০ শতাংশ ভবিষ্য তহবিলে জমা করতে পারেন, এখানে ব্যাংক কোন অমুদান প্রদান করে না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাকুরী শেষে তাকে সমুদয় অর্থ মুনাফাসহ প্রদান করে থাকে।
অন্যদিকে একজন সিপিএফভোগী কর্মকর্তা ভবিষ্য তহবিলে তার মূল বেতনের ১০% জমা রাখতে পারেন; এক্ষেত্রে ব্যাংকও ১০% অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করে। কিন্তু অতিরিক্ত জমার উপরে কোন মুনাফা প্রদান করে না।
২। ২৫ বছর নিয়মিত চাকুরী শেষে একজন জিপিএফভোগী কর্মকর্তা/ কর্মচারী আনুতোষিক বাবদ ৮০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/ কর্মচারী ২৫ বছর নিয়মিত চাকুরী শেষে ৫০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আনুতোষিক বাবদ প্রাপ্ত হবেন যা একজন জিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/কর্মচারীর তুলোনায় অনেক কম।
অর্তাৎ একজন সিপিএফ ভোগী কর্মকর্তা/কর্মচারী ৩০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কম প্রাপ্ত হবেন।
৩। একজন জিপিএফ ভোগী তার প্রাপ্ত মাসিক পেনশন যা এককালীন জমা করলে ৪০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হন। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগীর ক্ষেত্রে পেনশনের কোন সুবিধাই রাখা হয়নি। ফলে একজন সিপিএফ ভোগী ৪০ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কম প্রাপ্ত হবেন।
৪। একজন জিপিএফ ভোগীর ক্ষেত্রে সুপার এনুয়্যেশন তহবিলে ৩০% সঞ্চিতি রাখা হয়। অন্যদিকে একজন সিপিএফ ভোগী গ্রাচুইটি তহবিলে ১৫% সঞ্চিতি রাখা হয়। এক্ষেত্রে ১০% অনুদান সহ হিসেব করলে মোট ৫% সঞ্চিতি কম রাখা হয়।
৫।
সার্বিক বিবেচনায় দেখা যায় যে, একজন সিপিএফ ভোগী একজন জিপিএফ ভোগীর তুলনায় ২৫ বছর চাকুরী শেষে দেড়গুণ কম আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হন যা প্রত্যক্ষ বৈষম্য।
একজন বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে তুলোনা করলে দেখা যায় যে, একই ধরনের নিয়মের আওতায় থাকা সত্বেও একজন বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা যেখানে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মাসে ৫০০০০ টাকা বেতন পান-প্রতি মাসে ভবিষ্য তহবিলে জমা রাখতে পারেন প্রায় ৫০০০ টাকা- সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ব একজন কর্মকর্তা বেতন পান মাত্র ১২০০০ টাকা- আর ভবিষ্য তহবিলে জমা রাখেন মোটে ৮০০ টাকা। অথচ তারা শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অন্যান্য দিক দিয়ে কোনভাবেই একজন বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তার চেয়ে কোন অংশে কম নন।
বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্রথম রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নেন। কিন্তু বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সেটা আটকে আছে এখন পর্যন্ত।
সর্বশেষে অর্থমন্ত্রী নিজে একটা বেতন কাঠামোর প্রস্তাবনা তৈরি করে সচিব কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঠান। সৌভাগ্যক্রমে সচিব কমিটি সেই বেতন কাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন করে অনুমোদন করে। এরপর সেটা অর্থমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায় এবং প্রধানমন্ত্রীয় সেই বেতন কাঠামো অনুমোদন করে বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠান। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। সচিবালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা হিংসার বশবর্তী হয়ে আইনের দোহাই দিয়ে এই বেতন কাঠামো আবার আটকে দিয়েছে।
তাদের যুক্তি হল, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বেতন না বাড়িয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের বেতন বাড়ানো যাবে না। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ‘চাকুরী পুনর্গঠন ও শর্তাবলী আইন, ১৯৭৫’ এর আওতাধীন। রাষ্ট্রায়ত্ব চার বাণিজ্যিক ব্যাংকে লিমিটেড কোপম্পানীতে রূপান্তরের পর থেকে এমনিতেই ‘চাকুরী পুনর্গঠন ও শর্তাবলী আইন, ১৯৭৫’ এর আওতার বাইরে চলে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পেনশন সহ সকল প্রকার আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন তথাপী বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেতন না বাড়িয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের বেতন বাড়ালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হবেন। পাশাপাশি অদ্ভুদ আরও একটা যুক্তি দেখানো হচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের বেতন না বাড়িয়ে চার রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন বাড়ালে এই চার ব্যাংকের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
এভাবেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের তরুণ কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে ২০০৭ সালের পরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধাদীর ধরন বেসকরারী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মত হলেও তাদেরকে বেতন পেতে হয় সরকারী স্কেলে যা তাদের ভবিষ্যতকে তিলে তিলে অন্ধকারের মাঝে ঠেলে দিচ্ছে। আর এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের তরুণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ক্রমশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন যা এই চার ব্যাংকের ভবিষ্যতের জন্য কখনও সুফল বয়ে আনবে না।
অন্যদিকে, যেসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে কোম্পানী করা হয়েছে তার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মাচারী জিপিএফ ধারী। তার মধ্যে ডিপিডিসি, বিমান, ডেসকো উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও সেখানে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হয়। বিচারকগণের জন্যো প্রচলন করা হয়েছে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো। বিটিসিএলকে কোম্পানীতে রুপান্তরিত করা হলেও সেখানে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করা হয়নি কিন্তু জিপিএফ-পেনশন স্কীম বহাল রয়েছে। অন্যদিকে শতভাগ রাষ্ট্রমালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক গঠনগত দিক থেকে শতভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুরূপ হলেও এই ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মীদের তুলোনায় তিনগুন বেতন ভাতাদি প্রাপ্ত হচ্ছেন। যত বৈষম্য সব রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে।
উপরন্তু, রাষ্ট্রায়ত্ব চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রবিধানমালাতেও স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, ব্যাংকগুলোতে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করা হবে। সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী প্রবিধানমালা-২০০৮ এর ১.২.২ নং অনুচ্ছেদে, অগ্রণী ব্যাংকের কর্মচারী প্রবিধানমালা-২০০৮ এর ১২ নং অনুচ্ছেদে, জনতা ব্যাংকের কর্মচারী প্রবিধানমালা-২০০৮ এর ১৪ নং অনুচ্ছেদে এবং রূপালী ব্যাংকের প্রবিধানমালাতেও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর কথা উল্লেখ আছে।
অথচ, দীর্ঘ ছয় বছরেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে ছয় বছর ধরে এই সকল ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছেন।
তাই রাষ্টায়ত্ব ব্যাংকে স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো চালু করা এখন সময়ের দাবি।
কারটেছিঃ আমিই রুপক-প্রথম আলো ব্লগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।