সোমবার সচিবালয়ের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু শ্রমিকদেরকেই দেয়া হবে, মালিকরা কিছু পাবে না- তা তো নয়। ২১ নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত মজুরি ঘোষণা করা হবে। ”
মন্ত্রী জানান, পোশাক শ্রমিকদের জন্য ‘ওয়েজ বোর্ড’ ঘোষণা করা হলেও আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ১৪ দিন সময় রাখা হয়েছিল। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা মজুরি বোর্ডের প্রস্তাব নিয়ে ‘আপিল’ করেছেন।
শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে রাজু বলেন, “আপনারা ওয়েট করেন, দেখেন, সরকার এবং মালিকপক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নেবে, যা আপনাদের মনোপুত হবে।
”
গত ৪ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের সভায় ভোটাভুটিতে ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হলেও গার্মেন্ট মালিকদের প্রতিনিধিরা তাতে আপত্তি জানিয়ে সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিকদের ওই অর্থ দেয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের পোশাক খাতের নেই।
প্রস্তাবিত ৫ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরির মধ্যে মূল বেতন ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ২৮০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৩২০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ২০০ টাকা যাতায়াত ভাতা এবং খাদ্য ভর্তুকি বাবদ ৩০০ টাকা ধরা হয়েছে।
মালিকপক্ষ ওই মজুরি মেনে না নেয়ায় সাভার ও আশুলিয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ চলছে।
ফলে বহু কারখানায় কাজ বন্ধ থাকছে। আবার কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন এখনো আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএর পরিচালক আরশাদ জামাল রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে পৌঁছাবার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মালিকদের কিছু শর্তও থাকবে। ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
”
মঙ্গলবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে রাজু বলেন, “কারখানা খোলা না রাখলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। কারাখানা বন্ধ হয়ে যায়। ”
হরতাল ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে তৈরি পোশাকের বাজার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি একে আজাদ ও আনিসুল হক, বিজিএমইএ সভাপতি টিপু মুন্সি, সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদীসহ ব্যবসায়ী নেতারা এবং শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।