আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বকাপে এক পা দিয়ে রাখল উরুগুয়ে

প্রথম বিশ্বকাপেরই চ্যাম্পিয়ন তারা। সর্বশেষ যেবার ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হলো, সেবারও মারাকানার লাখো দর্শককে চোখের জলে ভিজিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল এই উরুগুয়েই। অনেকের হিসাব ওলটপালট করে দিয়ে গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও চলে গিয়েছিল দলটি। সেই উরুগুয়েকে ছাড়া কি বিশ্বকাপ হয়!
এবার সরাসরি চূড়ান্তপর্বের টিকিট না পেলেও বিশ্বকাপে এক পা দিয়েই রাখল ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। আন্তমহাদেশীয় প্লে অফের প্রথম লেগে এশিয়ার দল জর্ডানকে নিয়ে তাদেরই মাঠে স্রেফ ছেলেখেলা করল অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা।

জর্ডানকে হারাল ৫-০ গোলে। ২০ নভেম্বরের ফিরতি লেগটা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার হয়ে গেল। উরুগুয়েকে তাদেরই মাঠে ৬-০, নিদেন ৫-০ গোলে জর্ডান গিয়ে হারিয়ে আসবে—কল্পনাবিলাসীরাও এতটা নিশ্চয়ই ভাবতে কষ্ট পাবে।
উরুগুয়ের মূল শক্তি ছিল তাদের ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। মজার ব্যাপার হলো ৯০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও স্কোরশিটে নাম ছিল না কাভানির।

এমনকি লুইস সুয়ারেজেরও নয়। ২২ মিনিটে গোলের শুরুটা করেছিলেন ম্যাক্সি পেরেইরা। প্রথমার্ধে ২-০ করেন ক্রিশ্চিয়ান স্তুয়ানি। ৬৯ ও ৭৮ মিনিটে ৪-০ করে দেন নিকোলাস লোদেইরো ও ক্রিশ্চিয়ান রদ্রিগেজ। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অবশেষে গোল উত্সবে যোগ দেন কাভানি।


কোনো অঘটন না ঘটলে স্বাগতিক মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এবার সর্বোচ্চ ছয়টি দল অংশ নিতে যাচ্ছে বিশ্বকাপে। স্বাগতিক ব্রাজিলের পাশাপাশি আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, চিলি ও ইকুয়েডর। সে তালিকায় খুব সম্ভবত ঢুকে গেল উরুগুয়েও। ব্রাজিলের স্বাগতিক দর্শকদের মনে কি ফিরে আছে ১৯৫০ বিশ্বকাপের জ্বালাময়ী স্মৃতি!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।