আমি মুক্ত, অবরুদ্ধ ,আমি কঠোর আবার কিছুই না ..
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট … টেলিভিশনে প্রথম দেখা এক অদ্ভুত ধরনের খেলা। ফুটবল খেলায় তাও গোল দেয়ার ব্যাপারটা বুঝতাম কিন্তু সাদা বল আর রঙ্গিন পোষাকের এই খেলাটি বুঝতে বুঝতে ৯৬ এর বিশ্বকাপ এসে গেলো ! ততোদিনে আমি নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে এক পাড় ক্রিকেট ভক্ত। না খাওয়া না ঘুমানো, এমনকি অবচেতন মনের রিলে কতো যে ক্রিকেট ম্যাচের দৃশ্যকল্প ধারণ করতাম তার ইয়ওা নেই ।
সেই দৃশ্যকল্প গুলোতে আমিই নায়ক। শিল্পের সুনিপুন ছোয়ায়, কখনো স্কয়ার ড্রাইভ, কখনো ব্যাকফূটে এসে পুল, আবার কখনো ফ্রন্টফুটে স্টাইলিশ স্ট্রেট ড্রাইভে ভাস,আকরাম,প্রভাকার,আমব্রোস দের এক একটি গোলা আছড়ে পরছে বাউন্ডারিতে ।
আবার পরোক্ষনেই ইনসুইং আর আউটসুইং এর ভেল্কিতে স্বপ্নের ক্রিকেটারদের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলছি । এক উন্মাতাল ক্রিকেটময় কৈশোর আমার। আর দেখেছি এক লিজেন্ডকে…হ্যা,তাকে উদ্দেশ্য করেই আজকের এই লেখা । পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার । তার সময়ের সাইদ আনোয়ার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং এর মত অনেক গ্রেট খেলোয়ার ছিলেন ।
কিন্তু কেউই ধারাবাহিকতা, একাগ্রতা আর পরিশ্রমের মিশেলে শচীন হয়ে উঠতে পারেননি । তরুন বয়সে ওয়ালশ,ওয়াকার দের গতি যার ভিত নড়াতে পারেনি, মধ্যগগনে ম্যাকগ্রা, লি আর শোয়েবদের বাউন্সারে যার ছিলো সমোচিত জবাব…সেই একই নিপুনতায় খেলে গেলেন হালের স্টেইন আর মালিঙ্গাদের । যার প্রশংসা তার প্রতিপক্ষের মুখেই শোনা যায় বেশি । আধুনিক ক্রিকেটের এই রুপকারকে বিদায় বেলায় আলাদা করে শ্রদ্ধার্ঘ দিতে চাই না । তিনি এমনিতেই হাজারো স্মৃতি আর স্মরনীয় অনেক মুহুর্ত উপহার দিয়ে গেছেন ক্রিকেট ফ্যানদের।
যার স্তুতি আর গীত অনুরনিত হবে সময় থেকে সময়ে,যুগ থেকে যুগে । আমাদের প্রজন্মের কেউই স্যার ডন ব্র্যাডমান কিংবা স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসদের খেলা দেখি নাই । কিন্তু সেই অতৃপ্তি নেই একদমই । নাতিপুতিদের গল্প শোনানোর জন্য আমাদের কাছে রয়েছে শচীনগাথা ততোদিনে নতুন শচীনের জন্ম হয়ে যাবে নিশ্চিত……এবং আমি দিব্যজ্ঞানে দেখতে পারছি সেই মানুষটি হবেন এই বঙ্গদেশের… সাকিব, তামিমদের কোনো এক উত্তরসুরি !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।